নদীর দখল-দূষণমুক্তসহ নাব্যতা ফেরাতে মাস্টার প্ল্যানের খসড়া চূড়ান্ত
তরিকুল সুমন : আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল, দূষণমুক্ত করা ও নাব্য ফিরিয়ে আনতে একটি মাস্টার প্ল্যানের (মহাপরিকল্পনা) খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি টাস্কফোর্স বা কমিটি করা হয়েছে, পদাধিকার বলে আমি সেই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে কমিটি একটি খসড়া মাস্টার প্ল্যান করেছে, সেই মাস্টার প্ল্যানের ওপর আলোচনা করে আজকে নীতিগতভাবে সেটি অনুমোদন করেছি। একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদিত খসড়া মাস্টার প্ল্যানটি উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে উনি অনেক আন্তরিক, বিষয়টাকে তিনি অনেক গুরুত্ব দেন, সেই হিসেবে এ বিষয়ে তার অনেক তথ্য জানা আছে। যদি কোথাও ইনপুট দেয়া দরকার মনে করেন, সংযোজন করা দরকার মনে করেন, তিনি সেটা করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০ বছর। প্রাথমিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলছে। আপনারা দেখেছেন নদী দখল যেগুলো হচ্ছে তা মুক্ত করা হচ্ছে, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এরপর ওয়াসার নেতৃত্বে স্যানিটেশনের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা শহরের স্যুয়ারেজ লাইন ঠিক করা হবে, যাতে নদীতে কোনো দূষিত পানি না যায়।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। বর্জ্য যাতে নদীতে এখানে সেখানে ডাম্পিং করা না হয় সেজন্য বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে করতে পারি, এই ব্যবস্থা নিতে কাজ করছি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, নদীকে ড্রেজিং করতে হবে। পলি পড়ে নদীর বেডগুলো উচু হয়ে গেছে, সেগুলোতে আগের জায়গায় নিতে হবে। পানি দূষিত হয়ে গেছে, পানি ট্রিটমেন্ট করতে হবে। পানিতে আর যাতে দূষিত পদার্থ না যায় সেজন্য সোর্সগুলোকে বন্ধ করতে হবে। সম্পাদনা : ওমর ফারুক