সিলগালা খুলে বিজিএমইএ ভবন থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিলো রাজউক
স্বপ্না চক্রবর্তী : হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধভাবে নির্মাণ হওয়া বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভবনটি সিলগালা করে দিলেও বুধবার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের অবশিষ্ট মালামাল বের করে আনতে আবেদন করে রাজউকের কাছে। এরই প্রেক্ষিতে সিলগালা থাকা সত্ত্বেও গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলোর মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেয় রাজউক। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মালপত্র নেওয়া হয়ে গেলে পুনরায় ভবনটি তালা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন খন্দকার) অলিউর রহমান বলেন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমরা মালপত্র সরানোর সুযোগ দিয়েছি। সময় পার হওয়ার পর আবার তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। তবে পরে প্রয়োজন হলে আবারও মালপত্র সরানোর সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
জানা যায়, বিজিএমইএ ভবনের চারটি তলা ব্যবহার করত ডিবিএল গ্রুপ। নিজেদের মালপত্র সরিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৬০০ শ্রমিক নিয়োগ করেছে। মালপত্র সরানোর কাজ তদারক করছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মালপত্র সরিয়ে নিতে আমরা রাজউকের কাছে সাত দিন সময় চেয়েছি। দুপুর পর্যন্ত ৬৫-৭০ শতাংশ মালপত্র সরাতে পেরেছি। আরও ২-৩ দিন লাগতে পারে। আশা করছি, রাজউক আমাদের সেই সময় দেবে।
জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করায় হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভেঙে ফেলতে হবে। সে জন্য ভবনটি ছাড়তে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছিলেন আদালত। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ তাদের দপ্তর উত্তরায় নির্মাণাধীন নতুন ভবনে স্থানান্তর করে। গত সোমবার থেকে সেখানে দাপ্তরিক কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার সারা দিন মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় দিয়ে সন্ধ্যায় ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। গত বুধবার সারা দিন তালা ঝোলানো থাকলেও ওই ভবনের অন্যান্য অফিস কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার তালা খুলে দেয় রাজউক। এতে করে অফিসগুলো তাদের মালপত্র সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়। তবে সব মালামাল সরিয়ে নিতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ভবনটিতে থাকা অন্যান্য অফিসের কর্তৃপক্ষরা। রাজউক তাদের সেই সময় দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে বলে জানা যায়। সম্পাদনা : ইকবাল খান