রকিব হোসেন : নবম বাংলাদেশ ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের ঐতিহ্যসহ পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানগুলোকে বিদেশে চমৎকারভাবে তুলে ধরতে হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ আমাদের দূতাবাসগুলোকে এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ইউএনবি,বাসস
বিদেশি পর্যটকরা আমাদের অতিথি। তারা যাতে নির্বিঘেœ এবং আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারে, আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেন রাষ্ট্রপতি।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দেশের পর্যটন খাতের বিকাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি পর্যটন শিল্প জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ। আমি আশা করি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনসহ সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থা একত্রে কাজ করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরবে।’
দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ সুবিধা প্রাপ্য দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করাসহ বাংলাদেশের মিশনগুলো সম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-ভিসা প্রদান করছে।’
বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ মেয়াদের জন্য দশম ইসলামিক কনফারেন্স অফ ট্যুরিজম মিনিস্টারস (আইসিটিএম)-এর চেয়ার নির্বাচিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, “ঢাকা শহরকে ২০১৯ সালের জন্য ‘দ্যা ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কর্মসূচি দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
ভারত, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, আরব আমিরাতসহ ১৩টি দেশের প্রতিনিধিরা তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে অংশ নিচ্ছে বলে আয়োজকরা জানান।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বক্তব্য দেন। সম্পাদনা : আনিস রহমান