অতি উচ্চ হারে খেলাপিঋণ বহাল রেখে সুদের হার কমানো সম্ভব হবে না
ফাতেমা ইসলাম : বাংলাদেশের ১৮টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা গত কয়েক দিন ধরে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জাজ বিজনেস স্কুলের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। ‘উদ্দেশ্য, ব্যাংকেরÑপরিচালনা পদ্ধতিতে দক্ষতা বাড়ানো’। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে যখন অব্যবস্থাপনা এবং বিপুল খেলাপিঋণÑ নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে তখন একসাথে এতজন শীর্ষ নির্বাহীর এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ঘটনা বিরল। বিবিসি
ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ফারুক বলেন, আমাদের ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে গভর্নেন্স ইস্যু একটা বড় ধরনের ইস্যু। কারণ গভর্নেন্স যদি আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারতাম তাহলে ব্যাংক নিয়ে যে অভিযোগ সেগুলা অনেকাংশে কমে যেত। তবে বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক থাকায় গভর্নেন্স ইস্যুটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বজায় রাখা সম্ভব হয় না।
গভর্নেন্স ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে অনেকগুলো ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়েছে, একসাথে এতগুলো ব্যাংক যখন বাজার পরিচালনা করে, তখন দক্ষ জনশক্তি একটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। যখন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে ইন্টারভিউ নেয়া হয়, তখন আমরা যে মানের অফিসার বা কর্মকর্তা চাই সেরকম পাওয়া যায় না। একই সাথে এতগুলো ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের একটা নির্দিষ্ট মানের দক্ষতা থাকতে হয় সব সময় দক্ষ প্রধান নির্বাহী হয়তো পাওয়া যাচ্ছে না, বা অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা থাকেন পরিচালনা বা বিভিন্ন পলিসি তৈরি করবেন তাদেরও অভাব, এটাও বড় ইস্যু।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বেসরকারি ব্যাংকে হয়তো নেই, তবে সরকারি ব্যাংকগুলোতে এর প্রভাব থাকতে পারে। সরকারি ব্যাংকের তুলনায় বেসরকারি ব্যাংকগুলো আমাদের পুরো ইন্ডাসট্রিতে অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে। সুতরাং এখানে দক্ষ জনশক্তির বিষয়টি কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের চেয়েও।
সুদের হারের ব্যাপারে তিনি বলেন, সুদের হার ধীরে ধীরে কমেই আসছিলো, তখন কারো কোনো নির্দেশ ছিলো না বাজারই সুদের হার টেনে নিচে নামিয়ে আনছিলো। সুতরাং এটি বাজার ভিত্তিক একটি নীতি, তাই বাজার যখন নির্ধারণ করবে তখন সুদের হার কমে যাবে। কেউ যদি এককভাবে সুদের হার কমাতে বা বাড়াতে চায় তাহলে বাজার না চাইলে পারবে না। সম্পাদনা : আনিস রহমান