মানবশিকল তৈরি করে শেষ মুহূর্তে উদ্ধার করা হয় নটর ডেমেরঅমূল্য সম্পদ, সামান্য দেরি হলেই হারিয়ে যেতো কন্টক মুকুট
আসিফুজ্জামান পৃথিল : প্যারিসের নটর ডেমে যখন বিধ্বংসী আগুন ছড়িয়ে পড়লো তখন প্যারিস ফায়ার ব্রিগেডের চ্যাপলিন জিয়ান-মার্ক ফার্নিয়ের এর হাতে খুব বেশি সময় ছিলো না। আগুনের হাত থেকে দুটি অমূল্য সম্পদ রক্ষা করা ছিলো তার প্রথম কর্তব্য। একটি হলো যিশুর কন্টক মুকুট, যেটি তিনি পড়েছিলেন ক্রুসিফিকেশনের সময় আর একটি হলো ক্রুসিফিকেশনের আগে যিশুর শেয়ার করা নিজ রক্ত মাংসের নৈবেদ্য বলে পরিচিত ‘দ্য হোলি উখারিস্ট’। সিএনএন।
কিন্তু এই পবিত্র আর্টিফেক্টদ্বয় রক্ষায় একটি বড় সমস্যা ছিলো। এগুলো রাখা ছিলো ক্যাথেড্রালের এক সিন্দুকের ভেতরে। ফারনিয়ের বলেন, ‘আমাদের কাছে কোডগুলো ছিলোনা। আমরা সে মানুষগুলোকেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না, যাদের কাছে পাসওয়ার্ড আছে।’ অবশেষে যখন আগুন নটরডেমের বিখ্যাত স্পিয়ারের কাছে পৌঁছে গেছে, ঠিক তখনই এক কর্মকর্তা ক্রিপ্টেড চাবি নিয়ে হাজির হন। এটি পেয়েই অগ্নিনির্বাপকেরা দৌড়ে সিন্দেুকের কাছে যান। গরমে লাল হয়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ সিলিং থেকে খসে পড়ছিলো। ফার্নিয়ের এর সামনেই তার সহকর্মিরা সিন্দুক খুলে মুকুটটি উদ্ধার করেন। এসময় এর গায়ে লেগে থাকা সোনায় ঘষার দাগ পরে। ১৮৯৬ সালে মুকুটের বাইরের ক্রিস্টাল টিউবটিকে সোনা দ্বারা মোড়ানো হয়েছিলো।
এরপর চ্যাপলিনের নেতৃত্বে অগ্নিনির্বাপকের দল, জরুরী কর্মী আর অ্যান্টিক বিশেষজ্ঞরা একটি মানবশিকল তৈরী করেন। তারা একজনের হাত থেকে অন্যজনের হাতে এই মুকুট দিয়ে পুড়তে থাকা গির্জার বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। এভাবেই তারা রক্ষা করেন মানব সভ্যতার ইতিহাসের এক অমূল্য সম্পদ। সামান্য দেরি হলেই যা পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। একই ভাবে রক্ষা করা হয় পবিত্র নৈবেদ্যও। সম্পাদনা : ইকবাল খান