নূর মাজিদ : দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের সার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিলগুলোর জন্য আকর্ষণীয় বিনিয়োগের গন্তব্য ছিলো যুক্তরাজ্য। তাদের বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশটিতে গড়ে উঠেছে মনোরোম সব সুউচ্চ দালান। ব্যাংকিং খাতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে, অর্থায়ন এসেছে অভিজাত বিপণন কেন্দ্র নির্মাণেও। তবে ব্রেক্সিট এই ধারাবাহিকতায় ছন্দপতন এনেছে। ব্রেক্সিট হবে কি হবে না, এই অনিশ্চয়তায় এখন অনেক ব্রিটিশ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মতোই সার্বভৌম তহবিলগুলোর মাঝেও শঙ্কা বিরাজ করছে। এই কারণেই, তাদের পক্ষ থেকে নতুন বিনিয়োগ আসার প্রক্রিয়া থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স ।।
বিনিয়োগ তহবিলগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক স¤পর্ক রয়েছে এমন সূত্রের বরাতে এসব তথ্য যান জানায় বার্তা সংস্থা থমসন-রয়টার্স। গত বছর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে তহবিলগুলো যে বিনিয়োগ করতো তা আশংকাজনকভাবে কমে গেছে। যার পরিমাণ ২০১৭ সালের চাইতে দুই-তৃতীয়াংশ কম। ২০১৭ সালে ২৯৪ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড বা ৩৮২ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ আসে পুঁজিবাজারে। ব্রিটিশ অর্থনৈতিক তথ্য গবেষণা সংস্থা ‘পিচবুক’ এই তথ্য জানায়।
এই বিষয়ে আরো ব্যাখ্যা দেন লন্ডনভিত্তিক বিনিয়োগ পরামর্শক সংস্থা ক্লিয়ারি গটলিব-এর বিশেষজ্ঞ তিহির সরকার। তার সংস্থার গ্রাহক বেশ কয়েকটি বৃহৎ বিনিয়োগ তহবিল। তিনি বলেন, ‘এখন অধিকাংশ সভরেন ফান্ড নতুন বিনিয়োগ চুক্তি করছেনা। তারা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু হলেই তারা বুঝেশনে নতুন বিনিয়োগের চুক্তি করবে।’
তবে ব্রিটেনের জন্য সুখবর হলো নরওয়ের ১ লাখ কোটি ডলার মূল্যের সার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিল গত ফেব্রæয়ারিতে যুক্তরাজ্যে তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রæতি দেয়। হংকং মনিটরিং অথরিটি জানায়, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সার্বভৌম তহবিলগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। যদিও, এই পরিস্থিতি যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে। এই কারণে সংস্থাটি ব্রেক্সিটের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান