ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু আজ
ইউসুফ বাচ্চু : সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ আজ থেকে শুরু। চলবে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত। ২৫ মে থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। এবারের ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের ঠেকোতে ৩২ উপজেলায় করা হয়েছে বিশেষ কমিটি। ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের লক্ষে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয় ইসি সচিব বলেন, এবারের ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাজ করবে বিশেষ কমিটি। ওইসব এলাকায় ভোটার হতে বিশেষ কমিটির সুপারিশ লাগবে।
তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট হলো ৮০ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা। ২০০৪ সালের পহেলা জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এ রকম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের, মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে, নারী ভোটারদের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আলাদা আলাদা প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালাতে বলা হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহকারী যাতে প্রতিটি বাড়ি গিয়ে যেন তথ্য সংগ্রহ করে সে বিষয়েও কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক জায়গায় বসে যেন তথ্য সংগ্রহ করা না হয়। তথ্য সংগ্রহকারীদেরও নজরদারিতে রাখা হবে এমন কথা বলেছেন সচিব।
এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মোট তথ্য সংগ্রহকারী থাকবে ৫২ হাজার ৫০০ জন, সুপারভাইজার ১০ হাজার ৫০০, টেকনিক্যাল সাপোর্টে থাকবে ৬৪ জন এবং রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র থাকবে ৭৮০ পয়েন্টে।
সচিব বলেন, ২৫ মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। কোনো কারণে তথ্য সংগহের সময় কেউ যদি বাদ পড়েন, তবে তিনি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়েও তার তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন।
ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরীর জন্য কোনো বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না এ বিষয় সচিব বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ট্যাব ব্যবহার করতে চাই। কারণ এতে লোকেশনটা দেখা যায়। ঢাকা শহরে বাড়ি বাড়ি যাওয়া ডিফিকাল্ট। কারণ মানুষ খুব একটা সহযোগিতা করতে চায় না। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে আমরা এ বিষয়ে অনেক বেশি সহযোগিতা পাই।
ঢাকাতে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করবো, সেটা যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন এ বিষয়ে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বাড়ি বাড়ি যদি যেতে না পারে, তাহলে কোনো কমিউনিটি সেন্টারে করবো কি না, বা তাদের একটি নির্দিষ্ট সোসাইটি আছে, সেখানে ফ্ল্যাট বাড়ির নিচে এনে তাদেরকে ভোটার করা যায় কি না। এসব বিষয় আমরা বিবেচনা করবো। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান