স্বপ্না চক্রবর্তী : বৈশাখের শুরু থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে হু হু করে বাড়ছে গরম। প্রচন্ড দাবদাহে যখন নগর জীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা তখন লোডশেডিংয়ের তীব্রতা অনেকটাই মরার উপর খাঁড়ার ঘা’য়ের মতো। রাজধানীতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা সহনশীল পর্যায়ে থাকলেও মফস্বলগুলোতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই ডিভিশন (ডিপিডিসি) বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বললেও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে একদিকে যেমন মানুষের কষ্ট বাড়ছে অন্যদিকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
রাজধানীর মগবাজার নয়াটোলা এলাকার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বলেন, গরম বাড়তে না বাড়তেই লোডশেডিংও বাড়ছে। আগামী রমজানে যদি এই অবস্থা থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ অনেক ভোগান্তিতে পড়বে। তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুতের অনেক উন্নয়নের কথা বললেও আসলে বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই।
তবে মগবাজার এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণ হিসেবে ট্রান্সফরমার জ্বলে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দাবি করে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, রাজধানীতে কোনো লোডশেডিং নেই। আমাদের চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণ বিদ্যুতের উৎপাদন রয়েছে। আশা করছি আগামী রমজান মাসেও বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি দেখা দেবে না।
এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা আর বাইরে প্রচন্ড দাবদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদেরকে। বাড়ছে অসুখ-বিসুখও। রাজধানীর কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা রহমত উল্লাহ বলেন, গরম থেকে বাচনের লাই¹া মাথার উপর ছোট্ট একটা ফ্যান লাগাইছিলাম। কিন্তু কারেন্ট না থাকলে হেই ফ্যান চলবো কি দিয়া? তাই গরীবের সব রকমেই মরণ। সম্পাদনা : ওমর ফারুক