আমাদের বিশ্ব • আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৩
আইসিটিতে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করতে হবে, বললেন জয়
ইউসুফ বাচ্চু : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমরা অনুকরণ করবো না, আমরা উদ্ভাবন করবো। বিপিও ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য এই হোক আমাদের মূলমন্ত্র। এর ধারাবাহিকতায় বিপিও খাতে নিজের চেষ্টায় এগিয়ে চলছে। রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং সামিটের চতুর্থ আসর উদ্বোধন করতে এসে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
তথ্য প্রযুক্তিবিদদের উদ্দেশ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশকে কিভাবে ডিজিটাইজড করতে হবে, এ বিষয়ে কোনো দেশেরই কোনো পরিকল্পিত রূপকল্প ছিলো না। কোনো কোনো দেশ এটাকে অর্গানিক্যালি করেছে। প্রতিটি দেশের সমস্যা ও সম্পদ একেবারে আলাদা। তাই আপনাকে থাকতে হবে নির্দেশকের ভূমিকায়। আর আমরা তা সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছি। জয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় দেশের উন্নতি হয়। বিশে^র মধ্যে বাংলাদেশ দ্রæত গতিতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। আমরা আরও দ্রæত দেশের উন্নয়ন করতে চাই। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে আইসিটি সেক্টরে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। কিন্তু দুঃখজন হচ্ছে আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ দশভাগেরও কম। আমি চাই অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নত হোক। দশ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি ইউনিয়ার পর্যায় মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সফলতার সঙ্গে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আইসিটি খাতে উন্নয়নের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এবং এই উন্নয়ন অল্প খরচেই তা করে দেখাচ্ছি বলে জানান সজীব ওয়াজেদ।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত দশ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রযুক্তি খাতকে গুছিয়ে এনেছে। এখন দ্রæত বেগে অগ্রগতির পালা। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রæত বিকাশ লাভ করেছে। অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছি। উন্নত দেশ হতে হলে প্রযুক্তি খাত থেকে আয় বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিপিও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। বিশ্বব্যাপী বিপিও খাতের বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বিপিও ব্যবসার বাজার গত ১০ বছরে ইতিমধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেয়ার এখনই সময়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। এ হিসেবে তরুণদের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। বিপিও খাতে এখন বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। আমরা যদি এই তরুণদের প্রশিক্ষিত করে এই খাতে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরা খুব দ্রæতই বিপিওর বিশ্ববাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারবো।
বর্তমানে বিপিও খাতে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোসিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান