গুলশান বনানী বারিধারা লেকের উন্নয়ন কাজ চলছে দ্রæতগতিতে
সুজিৎ নন্দী : দ্রæতগতিতে চলছে গুলশান-বনানীতে ওয়াকওয়ে, লেক উন্নয়ন, ফ্লাইওভার, পার্ক, নৌপথ আর সেতু নির্মাণ কাজ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উদ্যেগে এটি বাস্তবায়িত হলে রাজধানীতে নতুন করে যুক্ত হবে তিনটি পার্ক, লেকপাড়ে ৫ কিলোমিটার রাস্তা, হাঁটার রাস্তা ৬ কিলোমিটার, ১৫ কিলোমিটারের বেশি নৌপথ, প্রায় ৩ কিলোমিটার ফ্লাইওভার, ২টি ওভারপাস, ৯টি সেতু আর দুটি ওভারপাস তৈরি হবে। ইতোমধ্যে ২০১০ সালে তৈরি হওয়া প্রকল্পটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ৭০ শতাংশ এলাকা গুলশান লেকে পড়েছে। বনানী, বারিধারা ও গুলশান সোসাইটি লেকের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে যুক্ত আছে। পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে বুয়েট।
রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, এটি রাজউকের একটি মেগা প্রজেক্ট। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এটি বাস্তবায়িত হবে। গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক হাতিরঝিলের চেয়ে আরও বেশি সুন্দর হবে। রাজধানীবাসী এর সুফল পাবে। বনানী, বারিধারা ও গুলশান সোসাইটি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, লেকের প্রায় ৩শ’ একর উন্নয়নে ২০১০ সালের জুনে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। শুরুতে ৪১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি হাতে নেয়া হয়। পরবর্তীতে প্রকল্পের সঙ্গে পার্ক, ওয়াকওয়েসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত হয়। বর্তমানে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮শ’ ৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নৌপথের একাধিক রুট তৈরি হবে। চলবে ওয়াটার বাস ও ওয়াটার ট্যাক্সি। এ সময় মগবাজার মোড় থেকে হাতিরঝিল হয়ে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালের পেছনে কালাচাঁদপুর পর্যন্ত যাওয়া যাবে নৌপথে। হাতিরঝিল থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্তও চলাচল করবে নৌযান। মগবাজারে হাতিরঝিলের মুখে, বাড্ডাসংলগ্ন গুদারাঘাট, কালাচাঁদপুর ও বনানী-১১ নম্বর সেতুর কাছে করা হবে চারটি স্টেশন।
রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, লেকের পাড়ে নির্মাণ করা হবে পাঁচ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা। লেক ভরাট না করে কলামের ওপর রাস্তা তৈরি করা হবে। লেকপাড় এবং কলামের ওপর তৈরি রাস্তায় মানুষ হাঁটতে পারবে। প্রকল্প সারসংক্ষেপে জানা যায়, কড়াইল বস্তির সামনে থেকে শুটিং কমপ্লেক্সের পেছনে বিনোদন পার্ক তৈরি হবে। মহাখালী-বনানী-গুলশান-বারিধারা-ন্যামফ্ল্যাটের পাশ দিয়ে লেকটি তৈরি হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, লেকের খনন করা অংশ পরিষ্কার রাখার জন্য বাঁধ দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। পুরো লেকের দুইপাড়ই বাঁধানো থাকবে। যার কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত