তাপসী রাবেয়া : রোববারের ভয়াবহ আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলার পর ভীত পর্যটকরা শ্রীলংকা ছাড়তে শুরু করেছেন। এতে দেশটির পর্যটন খাত বির্পযয়ে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ইয়ন। শ্রীলংকার পর্যটন খাত হচ্ছে মোট বৈদেশিক আয়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে। ২০১৯ এ বিখ্যাত এক পর্যটন গাইডের হিসেব মতে শ্রীলংকা অনেক পর্যটকের প্রথম পচ্ছন্দ।
শ্রীলংকায় বেড়াতে আসা জার্মান পাকিস্তানি দুই পর্যটকর নিজেদের আতংক প্রকাশ করে বলেন, তারা এখন দেশটি ছাড়ার অপেক্ষা করছেন। আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর রাজধানী কলম্বোর গ্রান্ড সিনামন, দি লা সাংগ্রি এবং কিংসব্যারি হোটেল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। দেশটির সমুদ্র তীরবর্তী হোটেল তাজ সমুদ্র, হোটেল দি গ্যালে ফেস তাদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
সম্ভাব্য আরো হামলা হতে পারে এমন আশংকায় যুক্তরাষ্ট্র এরিইমধ্যে শ্রীলংকায় তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ডও তাদের নাগরিকদের শ্রীলংকায় অবস্থানের ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
শ্রীলংকার বড় বড় এজেন্সি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে এই মাসে তাদের বড় বড় রিজার্ভেশনগুলো ইতিমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে।
দেশটির পর্যটন বিশ্লেষকরা বলছেন তামিল বিদ্রোহ অবসানের পর পর্যটন খাত বৈদিশেক আয়ের একটা প্রধান শিল্পে পরিণত হয়েছিল। ২০০৯ সালে সাড়ে চার লাখ পর্যটক আসলেও ২০১৬ সালে তা ২০ লাখে পৌছে যায়। শ্রীলংকার নয়নাভিরাম বনভূমি, বন্যপ্রানী, মন্দির সাগর দেখতে সারা বছরই পর্যটকরা অবস্থান করতো। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে এই অবস্থা দীর্ঘায়িত হবে না বলেই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।