আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হবেন মাগুরার লিচু চাষিরা
ইয়াছির আরাফাত
এ বছর লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন মাগুরার কৃষকরা। ইতোমধ্যে বাগানগুলো সবুজ লিচুতে ভরে গেছে। প্রতিটি গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে লিচু দেখে চাষিরা খুশি। তবে এবার আবহাওয়ার বিরুপ আচরণের কারণে কপালে ভাঁজ পড়েছে চাষিদের। বিশেষ করে গত দুই সপ্তাহ ঝড়ো বৃষ্টি ও শিলার্বষণের কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। ব্যাপক শিলাবৃষ্টির ফলে মুকুল থেকে বের হওয়া লিচুর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফলে চাষিদের দুশ্চিন্তা আতঙ্কে রূপ নিচ্ছে। কোটি টাকার লিচু এখন নির্ভর করছে সম্পূর্ণ আবহাওয়ার ওপর।
কৃষকরা আশা করছেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বাম্পার ফলন হবে লিচুর। আগামী তিন সপ্তাহের ভেতরে লাল লিচুতে ভরে যাবে বাগান। তাই প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে লাভবান হবেন কৃষকরা।
আলাইপুর গ্রামের লিচুবাগান মালিক সামছু জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে লিচু বাগান করেছেন। গাছ রয়েছে ১২০টি। গত দুই বছর সব গাছে লিচু ধরেনি, তাতেও দেড় লাখ টাকার লিচু বিক্রি করেছেন। এবার তার সব গাছে লিচু ধরেছে । আবহাওয়া প্রথম দিকে অনুকূলে না থাকায় দুশ্চিনায় ছিলেন। গত কদিন আবার ভালো আবহাওয়ার কারণে তিনি এবার ৪/৫ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা রুহুল আমিন পরিবর্তন ডটকমকে জানান, এখন কৃষকদের লিচুবাগানে সুষম সার প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপশি কৃষি বিভাগ এ সম্পর্কিত সবরকম সহযোগিতাও দিচ্ছে। মাগুরা জেলায় ৫ জাতের লিচুচাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশি জাত, চায়না ২, ৩, ৪ এবং বোম্বে চায়না ২, ৩, ৪। গত বছর বোম্বে চায়না ৩ জাতের লিচুর শ’ ছিল ৪শ থেকে ৫শ টাকা। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে জানা যায়, এ বছর মাগুরায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে লিচুচাষ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে মাগুরা সদরের পুরন থেকে নতুন ইছাখাদা, রাঘবদাইড় আলাইপুর, হাজিপুর, আলমখালি, আবালপুর, কাশিনাথপুর এবং বেরইল এলাকার প্রায় ২ হাজরের বেশি লিচু বাগানে সবুজ লিচুতে ভরে গেছে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তবে মাগুরায় এ বছর ২৫ কোটি টাকার লিচু বাণিজ্য হবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়।