বৃহৎ ও মাঝারি ঋণের পাশাপাশি কৃষি ঋণেও পড়েছে খেলাপির ছায়া
রমজান আলী : ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে কৃষি খাতে ১৬ হাজার ২শ ৬৪ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যার মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৪ হাজার ৬শ ১১ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণের ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খেলাপি হওয়া ৪ হাজার ৬শ ১১ কোটি টাকা কৃষি ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকেরই ৪ হাজার ৩শ ৬৯ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলাপি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এর। বিদায়ী অর্থবছরে ব্যাংকটি নতুন ঋণ বিতরণ করেছে ৪ হাজার ২শ ৩৯ কোটি টাকা। কিন্তু বিকেবি’র (আউটস্ট্যান্ডিং) চলমান কৃষি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৪শ ৬৬ কোটি টাকায়। এদিকে ব্যাংকটির কৃষি ঋণে খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ৭শ ৪৮ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে সোনালী ব্যাংক (১,৩১৩ কোটি) এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (৭৫১ কোটি)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরবিডি) ও ব্যাংক খাত মিলে মার্চ মাস পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৯শ ৮৮ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়ছে। আগের বছরের একই সময়ে কৃষি ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিলো ১৬ হাজার ২শ ১৪ কোটি টাকা। এ হিসেবে এবছর ৭শ ৭৪ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ বেড়েছে।
উল্লেখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ২১ হাজার ৮শ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬.৮৬ শতাংশ বেশি। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক সমূহের জন্য ৯ হাজার ৮শ ৭৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জন্য ১১ হাজার ৯শ ২৫ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত (২০১৭-১৮) অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২০ হাজার ৪শ কোটি টাকা। ওই অর্থবছর বিতরণ হয় ২১ হাজার ৩শ ৯৪ কোটি টাকা এবং আদায় হয় ২১ হাজার ৫শ ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিদায়ী অর্থবছরেও কৃষিঋণ বিতরণের তুলনায় আদায় বেশি ছিলো। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত মার্চ মাস শেষে দেশের ব্যাংকখাতের বিতরণ করা কৃষিঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৯শ ২২ কোটি টাকা। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান