ইসমাঈল ইমু : রাজধানীর ভিআইপি হোটেলগুলোতে নিয়মিত সংশ্লিষ্ট থানার একটি টহল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। এছাড়া এসব হোটেলের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক সময় বিদেশিরা হোটেলে অবস্থান করায় তাদের নিরাপত্তায়ও দিয়ে থাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
রাজধানীর ভিআইপি হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাই যথেষ্ট। বড় কোন অনুষ্ঠান হলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
ডিএমপির তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সোনারগাঁও, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, লে মেরিডিয়ানসহ সকল ভিআইপি হোটেলের সামনে পুলিশের একটি টহল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নজরদারি করে। প্রতিমাসে পুলিশের সঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষের সভা করা হয়। এসব সভায় হোটেলের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
তিনি বলেন, সকল হোটেল কর্তৃপক্ষকে হোটেলে আসা ব্যক্তিদের প্রথমে গাড়ি তল্লাশি, আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ এবং তাদের দেহ তল্লাশি করতে বলা হয়। এছাড়াও সন্দেহভাজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে খবর দেয়ার জন্য বলা হয়। তবে রাজধানীর হোটেলগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল বুধবার সকালে সোনারগাঁও হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, যেসব গাড়ি ভেতরে ঢোকে সকল গাড়িই প্রথমে ভি ফাইন্ডার দিয়ে গাড়ির নিচের অংশ পরীক্ষা করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। পরে আর্চওয়ে দিয়ে ঢোকার সময় মোবাইলসহ কোন ডিভাইস থাকলে তা পাশের ট্রেতে রেখে ভেতরে ঢুকতে হয়। এরপর সেখানের দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী হোটেলে আসা ব্যক্তিদের মেটার ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করেন। পরে নির্দিষ্ট হলরুম বা কাউন্টারে যেতে দেয়া হয়। একই অবস্থা লক্ষ করা গেছে লে মেরিডিয়ান, ওয়েস্টইন, রেডিসন বøু, ঢাকা রিজেন্সিসহ সব হোটেলেই। এছাড়া থ্রি স্টার মানের হোটেলগুলোতেও একইভাবে নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে। সম্পাদনা : ওমর ফারুক