নূর মাজিদ : দেশটির প্রভাবশালী একটি দৈনিক এই অভিযোগ করেছে তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, নিজস্ব বিশাল বাজারে স্থানীয় উৎপাদকদের লিক্যুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে বাজারজাতকরণ এবং উৎপাদনে বিপুল আর্থিক প্রণোদনা দেয় চীনের প্রাদেশিক সরকারগুলো। যার মাঝে সহজ শর্তের ঋণসহ, কর রেয়াতের ব্যবস্থাও রয়েছে। এসব কারণেই চীনা কো¤পানিগুলো অনেক কম দামে নিজস্ব বাজারে পণ্য বিক্রি করতে পারছে। ফলে দেশটিতে অবস্থানকারী বিদেশি উৎপাদকেরা এইক্ষেত্রে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন। সূত্র : নিক্কেই এশিয়ান রিভ্যিউ
এইক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন আবার জাপান এবং তাইওয়ানের মতো দেশের উৎপাদকেরা। জাপানি সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে থাকতে চীন আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে। যার আওতায় খুবই কমমূল্যে বাজারে টেলিভিশন এবং ক¤িপউটারের এলসিডি মনিটর বিক্রি করছে। নিজ বাজারে ভর্তুকি পাওয়ার এশিয়ার অন্যান্য দেশে নিজেদের বিপুল উৎপাদনের কারণে কম খরচেই অধিক মুনাফা করতে পারছে চীনা উৎপাদকেরা। বর্তমানে চীনের কারণেই মহাদেশটির বাজারে ৩২ ইঞ্চি মনিটরের উচ্চমূল্য কমেছে। এমনকি, ৬৫ ইঞ্চি টেলিভিশনের দামও কমেছে ৩০ শতাংশ। এই আকারের এলসিডি জাপানি এবং তাইওয়ানের কো¤পানিগুলোর জন্য আগে খুবই লাভজনক ছিলো।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে যখন এলসিডি মনিটরের চাহিদা বাড়ছে তার মধ্যেই এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে চীনের প্রতিদ্ব›দ্বীরা। সম্পাদনা : আনিস রহমান