বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেসে খাবারসহ টিকিটের মূল্য শোভন চেয়ার ৫২৫, এসি ৮৭৫ টাকা
ফাতেমা আহমেদ : রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে নতুন বিরতিহীন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্বোধন করা হয়। বাংলানিউজ, জাগো নিউজ
ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকা থেকে ছাড়বে বেলা ১টা ১৫ মিনিটে এবং রাজশাহী পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়। ট্রেনের ভাড়া একই রুটে চলমান ট্রেনের ভাড়ার তুলনায় নন-স্টপ সার্ভিস চার্জ ১০ শতাংশ বেশি ধরা হয়েছে। খাবার মূল্য ১৫০ টাকাসহ শোভন চেয়ারের মূল্য ৫২৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের মূল্য ৮৭৫ টাকা হবে।
রুট রাইডার কর্তৃক পথের মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত ট্রেন থামানো রোধে বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যালার্ম চেইন পুলিং সিস্টেম রয়েছে। এছাড়া খাবার গাড়িতে রয়েছে অত্যাধুনিক ডাইনিংয়ের সুবিধা। ১২টি কোচ নিয়ে ট্রেনটি চলবে। এর মোট আসন সংখ্যা ৯২৮টি। এর মধ্যে এসি চেয়ার ১৬০টি, শোভন চেয়ার ৬৪৪টি, খাবার গাড়িতে আসন ১০৮টি এবং পাওয়ার কারে ১৬টি। এটি শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন চলবে। বনলতা এক্সপ্রেসের অত্যাধুনিক ট্রেনটিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সার্ভিসেস (বিআরসিটিএস) দ্বারা খাবার সরবরাহ করা হবে। সংগৃহীত কোচসমূহের অন্যতম নতুন বৈশিষ্ট্য হলোÑবায়ো-টয়লেট সংযোজন। বায়ো-টয়লেট সম্বলিত কোচ দিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব রেলব্যবস্থায় বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে প্রশস্ত দরজা (মেইন ও টয়লেট দরজা) এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং অত্যাধুনিক যাত্রীসুবিধা সম্বলিত। প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট এবং এয়ার কার্টেইনের ব্যবস্থা রয়েছে।
কোচগুলো স্টেইনলেস স্টিল বডির তৈরি। জার্মানির ডিজাইনে তৈরি উচ্চগতি সম্পন্ন বগি। জার্মানির তৈরি আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট। অযুখানাসহ নামাজ ঘর। সুইং ডোর এর পরিবর্তে নিরাপদ স্লাইডিং ডোর। যাত্রী সাধারণের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, স্টেয়ার, পার্সেল র্যাক, টিভি মনিটর হ্যাঙ্গার, ওয়াই-ফাই রাউটার হ্যাঙ্গার, মোবাইল চার্জারের ব্যবস্থা রয়েছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইন্দোনেশিয়া থেকে ট্রেনের ব্রডগেজ কোচগুলো আনা হয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান