গতবছর চীনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ছিলো ১৪ হাজার কোটি ডলার
নূর মাজিদ : গত বছর সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখে চীন। প্রথমস্থানেও অক্ষুন্ন ছিলো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। সোমবার জাতিসংঘের বাণিজ্য এবং উন্নয়ন সংস্থা বা আঙ্কটাড প্রকাশিত ‘গেøাবাল ইনভেস্টমেন্ট ট্রেন্ডস মনিটর’ প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়। সূত্র : গেøাবাল টাইমস।
২০১৮ সালে মোট ১৪ হাজার ২শ কোটি ডলারের এফডিআই বা ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট আসে চীনে যা আবার ২০১৭ সালের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি। চীনের অর্থনীতি মন্দার মুখে এমন আশঙ্কা যারা করেছিলেন তাদের মুখে ছাই দিয়েই এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চীন। তবে এটা পূর্ব প্রত্যাশার চাইতে কিছুটা কম।
প্রথমস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এই সময় ২২ হাজার ৬শ কোটি ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সমর্থ হয়। তবে এই বিনিয়োগ প্রবাহ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কমেছে ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে, ব্রেক্সিট শঙ্কার পরেও যুক্তরাজ্য হংকংকে ছাড়িয়ে তৃতীয় অবস্থান লাভ করে। চীনের চাইতে কিছু কম বা ১২ হাজার ২শ কোটি ডলারের বিনিয়োগ যুক্ত হয় ব্রিটিশ অর্থনীতিতে। যা আবার পূর্ববর্তী বছরের ১০ হাজার ১শ কোটি ডলারের চাইতে ২০ বিলিয়ন বেশি। যুক্তরাজ্যের চাইতেও আবার কিছুটা কম বা ১১ হাজার ২শ কোটি ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকে স্বশাসিত চীনা বন্দর নগরী হংকং। গত বছরের তুলনায় শহরটির এফডিআই প্রবৃদ্ধি মাত্র ১শ কোটি ডলার বেড়েছে।
শীর্ষ দশের মাঝে সবার শেষে অবস্থান ছিলো প্রতিবেশী দেশ ভারতের। ২০১৮ সালে দেশটি ৪ হাজার ৩শ কোটি ডলারের সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে যা ২০১৭ সালের তুলনায় মাত্র ৩শ কোটি ডলার বেশি। বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি কমে আসা ভারতের জন্য বৃহৎ অর্থনীতির জন্য খুব আশাব্যঞ্জক খবর নয়। তবে সার্বিকভাবে বৈশ্বিক এফডিআই-এর মাত্রা কমে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালে যার পরিমাণ ছিলো ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি ডলার। ২০০৭ এবং ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দাকালীন সময়ের পর এই প্রথম এতো বড় এফডিআই ঘাটতি দেখে বিশ্ব অর্থনীতি। যার পেছনে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ, জ্বালানি তেলের উচ্চদর ইত্যাদি মূল ভূমিকা পালন করে।