আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমলেও বাড়ছে বাংলাদেশে
জহিরুল ইসলাম : আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম এখন নিম্নমুখী। কিন্তু দেশের বাজারে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির যথেষ্ট পরিমাণ মজুুদ রয়েছে। এই চিনি ঠিকভাবে বাজারে না পৌঁছালে রমজানে আরেক দফা বাড়তে পারে দাম। এদিকে, ভোক্তা অধিকার রক্ষা সংগঠনÑক্যাব আহŸান জানিয়েছে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ যেন ফায়দা নিতে না পারে সেদিকে নজর রাখার। আরটিভি অনলাইন
চিনি আমদানিকারক ও মিল মালিকরা জানিয়েছেন, খুচরা বাজারে গত কয়েকদিনে কেজিতে ২ টাকা বেড়ে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা। আর প্যাকেট চিনি ৫৮ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দামের লাগাম টানতে চিনির সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবুল হাশেম বলেন, দেশে চিনির যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। চিনির দাম বাড়ার কোনও আশঙ্কা নেই। বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেছেন, এ বছর রমজানে ব্যবহৃত প্রতিটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। কেউ যদি বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তাহলে সরকার তা কঠোরভাবে দমন করবে।
এফএও-এর তথ্যানুসারে ফেব্রæয়ারির তুলনায় মার্চে চিনির দাম কমেছে। তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি সময়ে বিশ্বে অন্তত চিনি উৎপাদন ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। আর এমনটি হলেÑতার প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারেও, কমবে দাম। কারণ, বাংলাদেশে চিনির বড় একটি অংশ আমদানি করা হয় বহির্বিশ্ব থেকে।
হিসাব অনুযায়ী দেশে বছরে মোট চিনির চাহিদা ১৮ লাখ মেট্রিকটন। এরমধ্যে কেবল পবিত্র রমজান মাসেই চাহিদা ৩ লাখ টন। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত দেশে ৬২ হাজার ৮৮৯ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। আর মার্চ পর্যন্ত দেশে চিনি আমদানি করা হয়, ১০ লাখ ৭৩ হাজার টন। একই সময় এলসি খোলা হয়েছে ১২ লাখ ৪৭ হাজার টন। ফলে, এ মুহূর্তে চাহিদার চেয়ে চিনির মজুদ আছে প্রায় দেড়গুণের বেশি।
ভোক্তা অধিকার রক্ষা সংগঠনÑক্যাবের সংস্থার সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এবার রমজানে সরকারের নির্দেশে আমরা বাজার কঠোরভাবে মনিটর করছি। সকল প্রকার পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান