জেলের ভেতর পেট্রোল দিয়ে পলাশ রায়ের গায়ে আগুন কারাগারে হত্যার শিকার হলে নিরাপদ স্থান কোথায়!
ইউসুফ বাচ্চু : কারা অভ্যন্তরে মানুষকে হত্যার স্বীকার হতে হয়। যেখানে কারাগার একটি নিরাপদ জায়গা নয়, তাহলে আর নিরাপদ জায়গা কোথায়? শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানবন্ধন থেকে এ প্রশ্ন রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। বক্তারা বলেন- পলাশ রায় অন্যায়ের সাথে আপোষহীন ছিলেন। কোহিনূর কোম্পানীতে লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে থাকাকালে ভুয়া দলিল পত্র দিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার বিষয়ে তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাকে চাপ দিয়ে মিথ্যা ডকুমেন্ট তৈরি করতে বাধ্য করার চেষ্টা করলে কোম্পানীর অনৈতিক কর্মকাÐকে ব্যাংককে অবহিত করেন। এ কারণে সেই সময় তাকে গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার প্রার্থী ছিলেন। সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষের লোকের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কট‚ক্তির মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে।
গত ২৬ এপ্রিল সকালে কারা অভ্যন্তরে দুই ব্যক্তি টয়লেটের কাছ থেকে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। কারারক্ষীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততোক্ষণে তার দেহের বেশিরভাগ পুড়ে যায়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ এপ্রিল ঢামেকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বক্তারা আরও বলেন- পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আমরা দেখিনি। কারাগার একটি নিরাপদ জায়গা, সেখানেও যদি মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হতে হয় তাহলে আর নিরাপদ জায়গা কোথায়? তারা পলাশ হত্যাকান্ডে জড়িতদের ৩ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার, দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার ও ফাঁসি দাবি করেন। অন্যথায় আগামী ১০ মে সারাদেশে একযোগে দেশের প্রতিটি জেলা ও থানা শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দিবেন বলে জানান তারা।