ফণী আশংকায় গোপালগঞ্জে বোরো ধান কাটা শুরু
মোহাম্মদ রকিব : ঘূর্ণিঝড় ফণীর ছোবলে ক্ষতির আশংকায় পাকা বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল তাড়াহুড়ো করে ঘরে তুলছেন গোপালগঞ্জে কৃষকেরা। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
জেলার প্রায় ৭০ ভাগ জমির বোরো ধান পেকে গেছে; এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশংকায় গোপালগঞ্জের বোরো চাষিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে গোপালগঞ্জে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে কৃষকেরা তড়িঘড়ি করে ধান কাটতে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত সব ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন তারা। কাশিয়ানী উপজেলার শিল্টা গ্রামের কৃষক সাকায়েত হোসেন বলেন, ‘আমার দশ বিঘা জমির পুরো ধান পেকে গেছে। কিন্তু কৃষাণের অভাবে ঘূর্ণিঝড়ের আগে কাটতে পারছি না। ধান নিয়ে চরম আতংকে আছি, জানি না কি হবে।’
কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামের কৃষক মো. মোসলেম মোল্যা বলেন, ‘দশ জন ধান কাটা কৃষাণ নিয়েছি। আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। আল্লাহই জানেন ঠিকমতো ধান কাটতে পারবো কী না। শুনছি সিডরের চেয়েও বড় ঝড় হবে। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তায় আছি।’
গোপালগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারেণের ভারপ্রাপ্ত ডিডি কৃষিবিদ হরলাল মধু বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে এ জেলার ৫০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন পর শুরু হবে পুরো দমে ধান কাটা ও মাড়াই উৎসব। এমন সময় ঘূর্ণিঝড় আঘাত করলে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
তাই কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ৮০ ভাগ পাকা বোরো ধান কাটতে এবং ভুট্টা, চীনাবাদামসহ পরিপক্ক সব ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।