ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ কোটি মার্কিন নাগরিক, জানালো আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি
নূর মাজিদ : যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যয়বহুল, এর চিত্র তুলে ধরে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অর্ধেকের বেশি বা ৫৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। ক্যান্সার সোসাইটি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ১৩ কোটি ৭০ লাখ প্রাপ্তবয়স্কদের আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি। যার কারণে ৫৬ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক মার্কিনী নিজের সঠিক চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে পারছেন না। এরসঙ্গে, নিত্য প্রয়োজনীয় এবং প্রেসক্রাইবড ড্রাগের উচ্চমূল্যের প্রভাবও যুক্ত হয়েছে। সূত্র : সিএনবিসি
সংস্থাটি জাতীয় স্বাস্থ্য জরিপের এরপর পৃষ্ঠা ৭, সারি
(শেষ পৃষ্ঠার পর) ওপর ভিত্তি করেই সাম্প্রতিক গবেষণাটি প্রস্তুত করে। যা ওয়াশিংটনের নীতি-নির্ধারকদের উপর দেশের স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির গবেষক ডা. জেরাল্ড কমনিস্কি বলেন, ‘২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকেরা চিকিৎসা সেবার পেছনে সাড়ে ৩ লাখ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন। যা ওই বছরে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেটের চাইতেও ছয়গুণ বেশি। চিকিৎসা সেবা পেতে আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবীমা থাকা আবশ্যক। যার উচ্চমূল্যের কিস্তির কারণে অনেক মার্কিন নাগরিক নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ’
ডা. কমনিস্কি গভীর হতাশার ব্যক্ত করে বলেন, এই ধরনের খরচের কারণে বীমা কার্যকর হওয়ার আগেই অনেককে নিজের পকেট থেকে অর্থ দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। যার কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী এবং তাদের অকালমৃত্যুর মিছিল দীর্ঘতর হচ্ছে। একই অভিমত ব্যক্ত করেন কমনওয়েলথ ফান্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা কলিন্স।
ফান্ডটির তথ্যানুসারে, ২০১৮ সালেই ৪ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন নাগরিক স্বাস্থ্যবীমার অধীনে থাকলেও, আন্ডার ইন্সুরেন্সড অবস্থায় ছিলেন। কোন ব্যক্তি যখন ‘আন্ডার ইন্সুরেন্সড’ থাকেন, তার অর্থ হলো তার বীমা থাকলেও স¤পূর্ণ চিকিৎসা ব্যয়ের খরচ তিনি পাবেন না। কলিন্স বলেন, ‘এই সকল ব্যক্তিরা যে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ হন সেই বিষয়ে কোন সন্দেহই নেই।’ সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব