ইউরোপে বৃহত্তম সব সামরিক বাজেট ব্যবস্থাপনাতেই এখন নারী
নূর মাজিদ : যুক্তরাজ্যে চলতি মে মাসে প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন পেনি মরডান্ট। ফলে দেশটির ৪ হাজার ৭শ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট ব্যবস্থাপনার প্রধান কর্তাব্যক্তি হয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি একাই নন, বরং ইউরোপের প্রধান ছয়টি দেশের বৃহত্তম সামরিক বাজেট ব্যবস্থাপনাই এখন নারীদের হাতে। সূত্র : কোয়ার্টজ ডটকম ।
বিশ^ব্যাপী সামরিক ব্যয় পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ’স্টকহোম পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ এর তথ্যানুযায়ী, পশ্চিম ইউরোপে ফ্রান্সের সামরিক বাজেটই সবচেয়ে বেশি। ২০১৮ সালে যার পরিমাণ ছিলো ৫ হাজার ৯শ কোটি ডলার। এরপরই অবস্থান যুক্তরাজ্যের। এরপর যথাক্রমে রয়েছে জার্মানি, ইতালি, ¯েপন এবং নেদারল্যান্ডসের সামরিক বাজেট। সুইজারল্যান্ডের বাজেট রয়েছে সবচেয়ে শেষে।
বৈশ্বিকভাবে সামরিক খরচের দিক থেকে গতবছর দশমস্থানে ছিল দেশটি। এ বাজেট ব্যবস্থাপনাতেও বর্তমানে রয়েছেন একজন নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সুইস প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিয়লা আমহার্ড চলতি বছরই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
ওদিকে বৈশ্বিক প্রতিরক্ষাখাতের সব ধরনের পদে নারী নেতৃত্বের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অতীতেও অনেক দেশই নারীদের হাতে প্রতিরক্ষা প্রধানের দায়িত্ব অর্পণ করেছে।
উদাহরণস্বরূপ ইউরোপের অন্যতম প্রধান স¤পদশালী দেশ নরওয়ের কথা বলা যায়। দেশটিতে ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একের পর এক নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শুধুমাত্র বর্তমান সময়েই একজন পুরুষের হাতে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। একই ঘটনা ¯েপনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। দেশটিতে ইতোপূর্বে তিনজন নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তবে ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচাইতে বড় সামরিক বাজেট ছিল যুক্তরাষ্ট্রের এবং এরপরই ছিল চীনের অবস্থান। এ দেশদুটিতে কখনোই নারীদের হাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়নি।