যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার বিগত ৫০ বছরে সর্বনি¤েœ
রয়টার্স : চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বেড়েছে এবং বেকারত্বের হার ৫০ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। গত বছর সরকারের কর কর্তন ও ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দেয়া বড় ধরনের প্রণোদনার প্রভাব কমে এলেও দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। খবর বণিক বার্তা
মাসিক কর্মসংস্থান প্রতিবেদন অনুসারে, গত মাসে ২ লাখ ৬৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এসব চাকরির বেশির ভাগই সৃষ্টি হয়েছে শিল্প খাতগুলোয়। অন্যদিকে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে, যা ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন। তবে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মজুরি প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি।
ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার অপরিবর্তিত রাখা ও খুব শিগগির মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন না আনার ইতিবাচক প্রতিফলন এই কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও বেকারত্ব হ্রাস। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারকে ‘প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা শক্তিশালী’ এবং মূল্যস্ফীতি ‘কিছুটা দুর্বল’ হিসেবে অবহিত করেছেন ফেডপ্রধান জেরোম পাওয়েল। অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সৃষ্ট যেকোনো ধরনের তাৎক্ষণিক উদ্বেগ প্রশমনে যথেষ্ট কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিক্রেডিট রিসার্চের প্রধান মার্কিন অর্থনীতিবিদ হার্ম ব্যান্ডহোলজ। তবে ফেডের কঠোর নীতি গ্রহণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে মজুরি বৃদ্ধি পায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। শক্তিশালী অর্থনীতি, বিশেষত শক্তিশালী শ্রমবাজার আগামী বছরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুননির্বাচিত হতে সাহায্য করতে পারে। ট্রাম্প এপ্রিলে ব্যাপক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন।
কয়েক দিন আগে তিনি ‘চাকরি, চাকরি, চাকরি’ লিখে একটি টুইট বার্তা দিয়েছেন।
মজুরি বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে পেছনে ফেলার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী না হলেও গত বছর ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার কর ছাড়ের মাধ্যমে দেয়া প্রণোদনার প্রভাব হ্রাস সামাল দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত। এপ্রিলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বেশ ভালো হলেও দ্বিতীয় প্রান্তিকের শুরুতে প্রবৃদ্ধির শ্লথগতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট (আইএসএম) পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, এপ্রিলে সেবা খাতের কার্যক্রম সূচক ২০ মাসের নিম্নে নেমে এসেছে। একই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত মাসে কারখানার কার্যক্রমও আড়াই বছরের নিম্নে নেমে এসেছে। অন্যদিকে গাড়ি খাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে শ্রমবাজার চাপে আছে। গাড়ি কোম্পানিগুলো টানা চতুর্থ মাস কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে।