বাড়ছে চীনের নারী ক্রেতাচাহিদা নির্ভর শি ইকোনমি বর্তমান বাজার ৬৭ হাজার কোটি ডলারের
নূর মাজিদ : তরুণী এবং মধ্যবয়স্ক নারীরাই এই বাজার সৃষ্টির পেছনে মূল অবদান রেখেছেন। বিলাসবহুল প্রসাধনী, পশ্চিমা সংস্কৃতির পোশাক ও অন্যান্য বিলাসদ্রব্যের পেছনে তাদের বিপুল খরচই এই অবস্থা সৃষ্টি করছে। চীনা নারীদের ক্রয় চাহিদার কারণেই বর্তমানে চীনা অর্থনীতিতে শি-ইকোনমি নামের নতুন খাতটি দূর্বার গতিতে বাড়ছে। এখন দেশটিতে ব্যবসায়িক মহলে একটি কথা খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেটা হলো যে (প্রতিষ্ঠান) নারীর হৃদয় জয় করতে পারবে, বিজয়ীর মুকুট তার মাথাতেই শোভা পাবে। অর্থাৎ, বর্তমান অবস্থায় নারী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারলেই বিপুল অংকের মুনাফা অর্জন প্রায় নিশ্চিত । সূত্র : সিএনবিসি ।
গত পাঁচ বছরে চীনা নারীদের খরচের পরিমাণ ৮১ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে তাদের চাহিদাভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকা-ের আকার ৬৭ হাজার কোটি ডলার। গুইতুই জুনান নামে চীনের সর্ববৃহৎ পুজিবাজার ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ ব্যাংক এই তথ্য জানায়। এদিকে চীনে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও টা খুব একটা প্রভাব ফেলছেনা শি-ইকোনমির বাৎসরিক প্রবৃদ্ধিতে। সরকারি হিসেব অনুসারে ,দেশটিতে নারীদের তুলনায় ৩ কোটি ১৬ লাখ বেশি পুরুষ রয়েছেন। তবে ওই সরকারি তথ্যসূত্রে আরো প্রকাশ, মোট অনলাইন শপিংয়ের ৫৫ শতাংশ পণ্য ক্রয় করেন, দেশটির নারীরা । নারীদের আকর্ষণ করতে কুইন ফেস্টিভ্যাল, গডেস ফেস্টিভ্যাল, বাটারফ্লাই ফেস্টিভ্যাল ইত্যাদি নামের অসংখ্য ইভেন্ট হোস্ট করা হয় অনলাইনে। যেখানে কো¤পানিগুলো বিশেষ কুপনসহ, ক্রেতাদের বড় অংকের মূল্যছাড়ও দেয়। এই ধরনের ইভেন্টগুলো বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নারীদের মাঝে। বাজারতথ্য অন্তত সেদিকেই নির্দেশ করছে।
এমনকি বিশ্বনারী দিবসকে কেন্দ্র করেও চীনে নারীদের কেনাকাটা বিপুল পরিমাণ বাড়ে। এদিন নারী স্বাধীনতা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চাইতে তারা শপিং মল বা অনলাইন কেনাকাটাকেই বেশি পছন্দ করেন। কারণ, নারী দিবসের কেনাকাটায় পশ্চিমা নামী-দামী ব্র্যান্ডগুলো চীনসহ বিশ্বব্যাপী নারী ক্রেতাদের বিপুল মূল্যছাড় দেয়। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল নাগাদ তিন বছরে বিশ্ব নারী দিবসে চীনা নারীদের শপিং ৬৪ শতাংশ বেড়েছে, দেশটির সবচাইতে বড় অনলাইন বাজার আলীবাবার, তাওবাও সেকশনে।
একটি ছোট্ট উদাহরণ পুরো চিত্র স¤পর্কে আপনার ধারণা পাল্টে দেবে। চীনের মোট খুচরা বাজারের কেনাকাটার ৩৫ শ—াংশই এখন অনলাইনে হচ্ছে। যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন বাজার, জানায় নিউইয়র্ক ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ই- মাকেটিয়ার। সেই তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের মোট খুচরা পণ্য বিক্রির মাত্র ১০ দশমিক ৯ শতাংশ অনলাইন শপিং নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৩ সালে চীনের অনলাইন খুচরা বাজারের আকার ছিলো মাত্র ২৮ হাজার কোটি ডলার। ২০১৮ সালে তা বেড়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি ডলারে পরিণত হয়েছে। যার সিংহভাগই এখন নারীদের চাহিদার ওপর নির্ভরশীল। সম্পাদনা : ইকবাল খান
বিএনপি জোটের অনেক নেতা আফগানিস্তানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত, জানালেন তথ্যমন্ত্রী
বাশার নূরু : আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অনেক নেতা আফগানিস্তানে ট্রেনিং নিয়েছেন। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নিমূলে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপি।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘জঙ্গিবাদ নির্মূলে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ভারতে জঙ্গি হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হওয়ার পর ওই দেশের সব বিরোধীদল জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমাদের দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল জঙ্গিদের রাজনৈতিক মিত্র এবং সহযোগী হিসেবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অনেক দলের নেতা আফগানিস্তানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সেই হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায় ২১ আগস্টের হামলা হয়, যা আজ আদালতে প্রমাণিত। তাদের সময়েই বাংলা ভাই হয়ে উঠার পেছনে প্রশাসনিক সহায়তা দেয়া হয়েছিলো।
বিএনপি জঙ্গি পোষণ ও তোষণ করে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে তারা জঙ্গিদের ব্যবহার করে। বর্তমান সরকার যখন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছিলো তখন বিএনপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। অর্থাৎ বিএনপি এবং তাদের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতাই বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বলেই আমি মনে করি।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত প্রমুখ। সম্পাদনা : ওমর ফারুক