ইমরুল শাহেদ : দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যবসা সফল ছবি হতে চলেছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ডগেম’। এই সময়ে ছবিটি সারাবিশ্বে দুইশ’ ১৯ কোটি ডলার আয় করেছে। চলচ্চিত্র ব্যবাসায়ের বিশ্লেষকরা এমন ধারণাই পোষণ করছেন। এর কারণ ছবিটি উত্তর আমেরিকায় সপ্তাহের শেষ তিন দিনে আয় করেছে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। তবে এই সময়ে ‘স্টার ওয়ার্স : দি ফোর্স এওয়েকেন্স’ আয় করেছে দুইশ’ সাত কোটি এবং টাইটানিক আয় করেছে দুইশ’ ১৮ কোটি ডলার। এএফপি
এই সময়ে অ্যাবাটার ব্যবসা করেছিল ২৭৯ কোটি ডলার। মাত্র ১১ দিনে অ্যাভেঞ্জার্স সেই রেকর্ডের কাছে পৌঁছে গেছে। ছবিটি শুধু চীন থেকেই আয় করেছে ৫৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। অ্যাভেঞ্জার্স অনেক দিন ধরে ব্যবসা করবে বলে ধারণা করছেন হলিউড বিশ্লেষকরা। রটেন টমেটোতে ছবিটির রেটিংস দেখানো হয়েছে ৯৬ শতাংশ। এতে অভিনয় করেছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, খ্রিস ইভান্স, মার্ক রাফেলো, খ্রিস হেমওয়ার্থ, স্কার্টলেট জোহানসন, ব্রেডলি কুপার এবং জোশ ব্রোলিন।
অ্যাভেঞ্জরের ব্যাপক সাফল্যকে প্রতিদ্বন্দ্বী তিনটি ষ্টুডিও তাদের নতুন ছবি দিয়ে বক্স-অফিসে ছবিটিকে অনুসরণ করে চলতে পারবে। অ্যাভেঞ্জারের পরপরই রয়েছে সনির মনস্তাত্ত্বিক ছবি ‘দি ইনট্রুডার’। এই ছবিটি আয় করেছে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার। মাইকেল ইয়ালি এবং মেগান গুড ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি বাড়ি খরিদ করে। কিন্তু তারা জানত না যে বাড়িটির আগের মালিক যে কোনো মূল্যেই বাড়িটি ফিরে পেতে চায়।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংসগেইটের রোমান্টিক কমেডি ছবি ‘লং শট’। এই ছবিটি আয় করেছে এক কোটি ডলার। ফ্রেড ফ্লার্স্কির চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেথ রজেন। তার চরিত্রটি হলো একজন বেকার সাংবাদিকের। এক সময় তিনি কাজের মেয়ের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কাজের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চার্লিজ থেরন। তিনি এখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থি।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে ‘আগলিডলস’ নামের একটি অ্যানিমেটেড ফিল্ম। এই ছবিটি আয় করেছে ৮৫ লাখ ডলার। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ডিজনির ক্যাপ্টেন মার্ভেল। নয় সপ্তাহে ছবিটি আয় করেছে ৪৩ লাখ ডলার। অভিনেতা ব্রাই লার্সন একজন সাবেক বিমান যোদ্ধা থেকে কিভাবে সুপারপাওয়ার প্রাপ্ত হয়।