৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ ত্রæটির কথা জানলেও ব্যবস্থা নেয়নি বোয়িং
বিবিসি, সিএনএন : গত অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়া ও মার্চে ইথিওপিয়ায় বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের দুটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে প্রায় ৩৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর জেরে সারা বিশ্বে তিনশর বেশি বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে এবং মডেলটির নিরাপত্তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
তবে চমকে যাওয়ার মতো খবর হলো, বোয়িং স্বীকার করেছে যে ওই দুই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার এক বছর আগেই ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের একটি সমস্যা সম্পর্কে তারা জানত কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বণিক বার্তা
এক বিবৃতিতে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং জানিয়েছে, তারা অসাবধানতাবশত একটি অ্যালার্ম ফিচারকে ‘স্ট্যান্ডার্ড বা অত্যাবশকীয়’ করার বদলে ‘অপশনাল বা ঐচ্ছিক’ করে ফেলেছিল। তবে কোম্পানিটি এও জোর দিয়ে বলেছে, এটি ফ্লাইটের নিরাপত্তা বিঘিœত করে না। এ ফিচারটির নাম অ্যাঙ্গেল অব অ্যাটাক (এওএ) ডিস-অ্যাগ্রি অ্যালার্ট। দুটি ভিন্ন সেন্সর পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রদান করলে তা পাইলটকে জানানোর কাজ এ ফিচারের।
এ উড়োজাহাজ নির্মাতা বলছে, তারা ফিচারটিকে স্ট্যান্ডার্ডই করতে চেয়েছিল কিন্তু সরবরাহ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারেনি যে এয়ারলাইনসগুলো যদি একটি বাড়তি ইন্ডিকেটর বা নির্দেশক না ক্রয় করে, তবে এ ফিচার কাজ করবে না। বোয়িং বলছে, তাদের অভিপ্রায় ছিল পরবর্তী সফটওয়্যার হালনাগাদের সময় এ সমস্যার সমাধান করার। বোয়িং বারবার বলে আসছে, সফটওয়্যার সমস্যা উড়োজাহাজের নিরাপত্তা বা পরিচালনার ওপর প্রতিক‚ল প্রভাব ফেলে না।
ইউএস ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) রয়টার্সকে বলেছে, ২০১৮ সালের নভেম্বরের আগ পর্যন্ত সফটওয়্যারের এ ইস্যু সম্পর্কে তাদের কিছু জানায়নি বোয়িং। অর্থাৎ লায়ন এয়ার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটার এক মাস পর এফএএকে ইস্যু সম্পর্কে অবগত করে বোয়িং। তবে এফএএ বলছে, ইস্যুটি ‘কম ঝুঁকির’। এ সম্পর্কে বোয়িং তাদের আগেভাগে জানালে সম্ভাব্য বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব হতো।
এফএএর সঙ্গে বোয়িংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ৭৩৭ ম্যাক্সের অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ট্রান্সপোর্টেশন ডিপার্টমেন্টের ইন্সপেক্টর জেনারেল ক্যালভিন স্কোভেল এফএএর ৭৩৭ ম্যাক্সের সনদ প্রদান প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ