বিজনেস আইডিয়া : গুঁড়ো মসলার ব্যবসায় হয়ে উঠুন সফল উদ্যোক্তা
আবুল বাশার
নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন গুঁড়ো মসলার ব্যবসা বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ আয়-উপার্জনের পথ খোঁজে।
আয়-উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা। অনেকেই ব্যবসা করে সফলতার মুখ দেখছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় পুঁজি খাটিয়ে সফল হচ্ছেন তারা। এমনই একটি গুঁড়ো মসলার ব্যবসা। বিভিন্ন রকমের মসলা গুঁড়ো করে বাজারজাত করে সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব। বর্তমানে বাটা মসলার তুলনায় গুঁড়ো মসলার ব্যবহার অধিক হারে বেড়েছে। শুধু শহরই নয়, গ্রামেও রান্নার ক্ষেত্রে গুঁড়ো মসলার ব্যবহারের চল বেড়েছে। এসব মসলার মধ্যে জিরা, ধনিয়া, হলুদ, মরিচ, গরম মসলা প্রভৃতি অন্যতম। তাই গুঁড়ো মসলার ব্যবসা করতে পারলে স্বাবলম্বী হতে পারবেন আপনিও।
প্রস্তুতি : মসলা তৈরির ব্যবসার আয়-ব্যয় সম্পর্কে অবশ্যই ভালো ধারণা রাখতে হবে। এ ব্যবসা দুভাবে করা সম্ভব। প্রথমত, গোটা মসলা কিনে বাড়িতেই নিয়ম মেনে গুঁড়ো করে প্যাকেটজাত করা। দ্বিতীয়ত, বাজার থেকে সরাসরি গুঁড়ো মসলা কিনে বিক্রি করা। সেক্ষেত্রে কতদিন পরপর মসলা কিনতে হবে বা তৈরি করতে হবে, তার হিসেব রাখতে হবে। ব্যবসার জন্য প্রয়োজন মূলধন বা পুঁজি। মসলার ব্যবসা শুরুর জন্য যথেষ্ট পুঁজি না থাকলে চিন্তার কিছু নেই। কোনো ব্যাংক বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে শর্তসাপেক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া যেতে পারে। আজকাল শহর ও গ্রামের অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসার জন্য ঋণ দিয়ে থাকে।
বাজার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা থাকা জরুরি। প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, দাম ও প্রাপ্তিস্থান নির্ধারণ করতে হবে। গুঁড়ো মসলা তৈরি ও প্যাকেটজাত করার নিয়ম জানার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অন্য ব্যবসার তুলনায় এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। তবু এ ব্যবসায়ও বেশ ঝুঁকি রয়েছে। তাই অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মসলা কেনার সময় তা যেন ঠিকমতো শুকানো হয়। অথবা বাড়িতে তৈরি করা হলে অবশ্যই তা রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। নয়তো কয়েক দিনেই ছত্রাকের আক্রমণে খাওয়ার অনুপযোগী হবে। তাই ব্যয়সাধ্য হলেও পলি প্রোপাইলিন ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ব্যাগের ওপরে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ এবং বিএসটিআই অনুমোদন থাকা বাঞ্ছনীয়। নতুবা এটি বাজারজাত করা যাবে না, ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা কঠিন হবে। এসব বিষয়ে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে হবে। অথবা নিজেই দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
সরবরাহ ব্যবস্থা : মুদির দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে অনেক সময় তারা বাড়িতে এসেই কিনে নিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া নিজের তৈরি পণ্যের প্রচার চালানোর জন্য প্রথমে প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে রাখলে ভালো। এরপর স্থানীয় দোকানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আবার পণ্যের বর্ণনা করে লিফলেট তৈরি করেও বিলি করা যেতে পারে।