চানাচুর আর আচার তৈরিতেই প্রায় শেষ আটির গাছের আম
মতিনুজ্জামান মিটু : চানাচুর আর আচার তৈরীতেই প্রায় শেষ হয়েছে আটির গাছের আম। কাঁচা পেড়েই বিক্রি করা হয়েছে এসব আম। আমের মোকাম বলে খ্যাত রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এবছর প্রতিমণ কাঁচা আম ৪০০ থেকে সাড়ে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মৌলভীবাজারের আকবরপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শরফ উদ্দিন বলেন, আটির গাছের কাঁচা আমই চানাচুর ও আচার তৈরীর উপযোগী। এছাড়া জুস তৈরীতেও কাঁচা আম ব্যবহৃত হয়। চানাচুর ও জুস তৈরীর কোম্পানীগুলো মৌসুম গুটি অবস্থা থেকে ওইসব মোকাম থেকে কেনার কারণে এবার কাঁচা আমের বাজার ছিল বেশ চাঙ্গা। তাই দেখতে না দেখতেই ফাঁকা হয়ে যায় প্রায় সব আটির গাছের কাঁচা আম।
বেসরকারি একটি কোম্পানি এবার চানাচুর ও জুস তৈরির জন্য ৬০ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন কাঁচা আম কিনছে। দেশে পাকার উপযোগী আম গাছ থেকে পাড়ায় বিধিনিষেধ থাকলেও কাঁচা আমের ক্ষেত্রে তা নেই। জাতীয় ফল চাষী নাটোরের সেলিম রেজা, চুয়াডাঙ্গার আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে জানান, কাঁচা আমের বাজার ছিল এবার তুলনামূলক ভাল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, আটির গাছের কাঁচা আমে আচার ভাল হয়। কাঁচা আম পাড়ার কোনো নীতিমালা ও বিধিনিষেধ নেই।