বাণিজ্যচুক্তি করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে, বললেন উপ প্রধানমন্ত্রী লিউ হে
নূর মাজিদ : যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্যচুক্তি করতে হলে চীনা পণ্যে আরোপিত সকল প্রকার অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। একমাত্র এই শর্তেই চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। শুক্রবার বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নেয়ার পর চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী লিউ হে একথা জানান। তার এই কথার মধ্যে দিয়ে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় এখনো যে দুই দেশের কর্মকর্তাদের ভেতর ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে তা আরো ¯পষ্ট হয়ে ওঠে। সূত্র : ব্লুমবার্গ
ওই ইন্টারভিউয়ে তিনি বলেন, ‘বানিজ্যচুক্তিতে উভয়পক্ষের জন্য সম্মান এবং ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে, মার্কিন ভোক্তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে কি পরিমাণ চীনা পণ্য আমদানি করা হবে সেই বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের অংশ হতে হবে।এর পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আরোপিত সকল ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করার বিষয়টি আমাদের প্রধান দাবি।’
এদিকে লিউ হে’র এই প্রধান তিন শর্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য আলোচনায় যে এখনো অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে সেই দিকেই নির্দেশ করছে। তবে ট্রা¤প প্রশাসন নিজেদের একরোখা অবস্থান ধরে রেখে জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ বাণিজ্যচুক্তি না হলে চীনা সকল প্রকার চীনা পন্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হবে। গত শুক্রবারে আবারো এই হুমকি দেন ট্রা¤প। এর আগে গত সপ্তাহের রোববার তিনি শুল্ক দ্বিগুণ করাসহ অতিরিক্ত ১৫ % শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা দেন। যা শুক্রবার থেকে কার্যকর করা হয়। ট্রা¤েপর এই ঘোষণার পর বৈশ্বিক পুঁজিবাজার নেতিবাচক প্রবণতার মুখে পড়ে। বৃহ¯পতিবার নাগাদ বৈশ্বিক পুঁজিবাজার লেনদেন সূচক ২ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার কমে। মার্কিন বাজারেই কমে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার। তবে শুক্রবার নাগাদ বাজার পরিস্থিতি আংশিক অনুকূলে চলে আসে।
লিউ হে আরো জানান, নানা ইস্যুতে দ্বিমত স্বত্বেও এখনো আমরা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতি। এইক্ষেত্রে প্রাথমিক কিছু বিরোধ এবং বিচ্চিন্নতা রয়েছে। তবে সমাধানের বিষয়ে আমরা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি। বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে গেছে এমন সম্ভাবনাও নাকচ করে তিনি বলেন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থেই একটি কার্যকর বানিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। এর সঙ্গে সাড়া বিশ্বের জনগণের স্বার্থ জড়িত। তাই যুক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিদ্যমান মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান