চলতি মৌসুমে ব্যাগিং হচ্ছে ১২ কোটি আমে, খরচ ৫০ কোটি টাকা
মতিনুজ্জামান মিটু : চলতি মৌসুমে ১২ কোটি আমে ব্যাগিং হচ্ছে। এতে খরচ হবে অন্তত ৫০ কোটি টাকা। গত মৌসুমে ৮ কোটি আমে ব্যাগিং হয়েছিল। মাছি পোকাসহ বিভিন্ন কীট পতঙ্গের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য গত কয়েক বছর যাবত আমে ব্যাগিং করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে খিরসাপাত বা হিমসাগর ও ল্যাংড়া আমে ব্যাগিং শেষ হয়েছে। বাকী জাতগুলোর আমে নির্ধারিত সময়ে ব্যাগিং হবে। এদিকে নানা বিতর্কের মধ্যও আমে ব্যাগের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। দেশে আম রক্ষায় ব্যবহৃত এসব ব্যাগের অধিকাংশই আমদানী করা হয় চীন থেকে। বর্তমানে চীন থেকে কাগজ আমদানী করে স্থানীয় ভাবেও কিছু ব্যাগ উৎপাদন করা হচ্ছে। মৌলভী বাজারের আকবরপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. মো. শরফ উদ্দিন বলেন, যথেষ্ট পরীক্ষা নিরিক্ষা করেই এদেশে আমে ব্যাগিং প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ব্যাগ প্রতি ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা খরচে হলেও ব্যবহৃত রাসায়নিক কীট নাশকের দামের চেয়ে অনেক কম। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি মৌসুমে আমে বহু বার রাসায়নিক কীটনাশক স্প্রে করা হয়। যা দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপন্থী। বিদেশী আমদানীকারকরাও বাংলাদেশের এই আম নিতে চায় না।
সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা গেছে পর পর দুই মৌসুমে ব্যবহার করা যায় পচনশীল এই ব্যাগ। মিষ্টতা কিছুটা কম হলেও তাতে তেমন কোনো সমস্যা হয়না। বিদেশীরা খুব বেশি মিষ্টি আম খেতে চায় না। তবে গাছ থেকে পাড়ার পর ব্যাগ খুলে ৭ থেকে ১৪ দিন রেখে খেলে আমের স্বাভাবিক মিষ্টতা আবার ফিরে পাওয়া যায়। আবার জাত ও বছর ভেদেও আমের মিষ্টতায় হেরফের হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পেস্ট রিস্ক এনালাইসিস (পিআরএ) কনসালটেন্ট মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ব্যাগিং এর নামে ব্যবসা আছে, নেই গবেষণা’। এদেশে আমে ব্যাগ ব্যবহারের কোনো সায়েন্টিফিক এভিডেন্স পাওয়া যায়নি। সুর্য কিরণ না লাগলে স্বাভাবিক ভাবেই আমের মিষ্টতা কমে যায়। ফলের গাছে নেট বা জাল ব্যবহার করে মাছি পোকাসহ সব ধরণের পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত