যোগসাজশে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে কো¤পানিগুলোরবিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ রাজ্যের মামলা
নূর মাজিদ : শুক্রবার রাজ্যগুলোর মামলার নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করেন কানেক্টিকাট রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম টং। সেখানে মার্কিন রাজ্যগুলি ২০টি ফার্মাসিটিক্যাল কো¤পানির বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ ধরনের ওষুধের দর পার¯পরিক যোগসাজশের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে বৃদ্ধি করার অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস রোগের ওষুধও রয়েছে। সূত্র : বিবিসি
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে এসকল ওষুধের দর ১০০০ শতাংশ বৃদ্ধি করে, ফার্মা কো¤পানিগুলো রোগীদের নির্মমভাবে শোষণ করছে। এমনকি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের সঠিক চিকিৎসা ও নিরাময় লাভের সুযোগ কেড়ে নেয়া হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম টং বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে যে জেনেরিক ড্রাগ উৎপাদন শিল্প মার্কিন জনগণের সঙ্গে প্রতারনা করে হাজার হাজার কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে। আমাদের কাছে প্রমাণ হিসেবে ই-মেইল, টেক্সট ম্যাসেজ, কো¤পানিগুলোর টেলিফোন কল রেকর্ড ইত্যাদি রয়েছে। এবং রাজসাক্ষী হিসেবে কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তাও রয়েছেন। এই সকল প্রমাণ বলছে, বহু বছর ধরে গোপন ও অবৈধ সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃত্রিমভাবে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই সমঝোতার মাধ্যমে ফার্মা কো¤পানিগুলো নিজেদের মাঝে বাজার অংশীদারিত্বও ভাগাভাগি করে নেয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের যে সকল বৃহৎ ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে শীর্ষ কো¤পানি টেভা ফার্মাসিটিক্যালস। টেভা ইসরাইলভিত্তিক একটি বহুজাতিক কো¤পানি। যারা পৃথিবীর বৃহত্তম জেনেরিক বা প্যাটেন্টকৃত ড্রাগ উৎপাদক । তবে মামলা দায়ের হওয়ার পরে দেয়া এক বিবৃতিতে টেভা তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ।
কো¤পানিটির এক প্রতিনিধি বলেন, ‘ আমরা এমন কোন অন্যায় বা অপরাধমূলক কাজ করিনি। ফলে, মামলায় আনীত অভিযোগগুলো সঠিক নয়।’
বাকি ১৯টি ওষুধ কো¤পানি এখনো এই বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় নি। তবে মামলায় ১৫ জন শীর্ষ ফার্মা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়ে তদারকির অভিযোগ আনা হয়েছে। উইলিয়াম টং আরো জানান, এই বিষয়ে মার্কিন রাজ্য সরকারগুলোর তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে।
এদিকে এমন সময় এই মামলা দায়ের করা হলো, যখন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রা¤প ক্ষমতায় আসার পর এই পরিস্থিতি আরো সঙ্গিন হয়ে ওঠে। কারণ, ট্রা¤প ওবামা কেয়ার স¤পূর্ণরূপে বাতিল করার হুমকি দিয়ে চলেছেন। এই অবস্থায় মার্কিন রাজ্যগুলো বলছে, স¤পূর্ণরূপে ওবামা কেয়ার বাতিল করা হলে, লাখ লাখ মার্কিন নাগরিক চিকিৎসার অভাবে মারা পড়বেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান