পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের পর বাণিজ্য উত্তেজনাকামাতে একমত হয়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র
লিহান লিমা: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাসে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার চীন সরকার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি মনে করছেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনা সফল হবে। রয়টার্স, গার্ডিয়ান, সিএনএন, ইয়ন।
সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প আগামী জুনে জাপানে অনুষ্ঠেয় জি-২০ দেশগুলোর সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।’ চীনের পররাষ্ট্রদপ্তরের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেছেন, ‘শুল্কারোপ কোন সমাধান হতে পারি না। তবে আমরা আশা করব যুক্তরাষ্ট্র চীনকে খাটো করে দেখবে না বা পরিস্থিতির অপব্যবহার করবে না।’ জেং বলেন, ‘চীন গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে এবং চাপের মুখেও শান্ত রয়েছে। এই সময় তিনি কয়েক দফার আলোচনা থেকে সরে আসার জন্য ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করেন।’
এর আগে, শুক্রবার আমদানিকৃত ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে মার্কিন শুল্কারোপের তিন দিনের মাথায় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ৬ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে পাল্টা শুল্কারোপের ঘোষণা দেয় চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভস অফিস জানিয়েছে, আগামী মাসে আমদানিকৃত ৩০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ হারে শুল্কারোপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নতুন এই শুল্কের সঙ্গে যোগ হবে আমদানিকৃত সেলফোন ও ল্যাপটপ। ১৭ জুন নতুন দফার এই শুল্কারোপের প্রস্তাব নিয়ে শুনানি হবে। যদি ওই শুল্কারোপ কার্যকর হয় তবে সব চীনা পণ্য মার্কিন শুল্কারোপের কবলে পড়বে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের এই বাণিজ্যিক বিরোধের কারণে পুঁজিবাজারে দরপতনের পাশাপাশি অস্থিতিশীলতার মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। মঙ্গলবার চীনের শেয়ারবাজারে দরপতন ও গত এক বছরের ইতিহাসে মুদ্রা ইউয়ানের মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে। তবে ট্রাম্প বলছেন, মার্কিন ক্রেতাদের চীনের শুল্কারোপের মূল্য দিতে হবে না। সোমবার ট্রাম্প চীনের শুল্কারোপের কারণে যে পণ্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওই কৃষকদের ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের অনুদান সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান