চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্বের ফায়দা লুটছে জিএসপি সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলো
নূর মাজিদ ও লিউনা হক : চীনা পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের কারণে বছরব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে ভারত, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ও তুর্কিস্তানসহ জিএসপিভুক্ত সকল দেশ চরম ফায়দা লুটছে বলে সাম্প্রতিক এক জরিপের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস, ইকোনমিক টাইমস
২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে, আমেরিকার কোম্পানিগুলো জিএসপি’র কারণে ২৮ কোটি ৫ লাখ ডলার ব্যয় কমিয়ে ফেলে যা গতবছরের ঠিক এই সময়ের তুলনায় ৬ কোটি ৩০ লাখ ডলারেরও বেশি।
ওয়াশিংটন ডিসির কোয়ালিশন জিএসপি নামক একটি সংস্থা জানায়, , ২০১৯ সালে চীনা পণ্যের উপর শুল্কারোপের কারণে ৩০১ ধারা সেকশন অনুযায়ী জিএসপি ভুক্ত দেশগুলো থেকে ৯০ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি পায়। জরিপের প্রতিবেদনুযায়ী, নতুন শুল্কারোপের কারণে চীন থেকে কোন পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছেনা বলে জিএসপির আওতায় থাকার কারণে ভারতের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে। অন্য আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করলে চীন সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক স¤পর্কের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনাতেও কোন সমাধান আসেনি। এর প্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ২৯টি পন্যে পাল্টা শুল্কারোপের পদক্ষেপ নিলেও, গত মঙ্গলবার এক ঘøায় তা কার্যকর করার তারিখ ৩০ দিন পিছিয়ে ১৬ জুন করা হয়। ভারত আশা করছে, এর মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা জিএসপি বহাল রাখার বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারবে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ৩০১ নং প্রজ্ঞাপনের আওতায় চীনের যে সকল পন্যে বাড়তি শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র তার ৯৭ শতাংশই ভারত থেকে আমদানি করতে হবে। যার কারণে আমদানি বৃদ্ধি পাবে ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
তুরস্ক থেকে আমদানির বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও চীনা পন্যে শুল্কারোপ ৯৭ শতাংশ অবদান রাখবে। একইসঙ্গে, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং মিশরের মতো জিএসপিভুক্ত দেশগুলো থেকে আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।