১৩ হাজার কোটি ডলার ডার্টিমানি ঢুকেছে কানাডায়
নূর মাজিদ : কানাডার আবাসন খাতের স¤পত্তি ক্রয়ে অবৈধ পুঁজির প্রবাহ বাড়ায়, খোদ কানাডিয় নাগরিকদের অনেকেই বাড়ি কিনতে পারছেন না। কারণ, অবৈধ অর্থ অফশোর কো¤পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করে আবাসিক স¤পত্তির মূল্য আকাশচুম্বী করে তোলা হয়েছে । সূত্র : সিবিসি নিউজ।
কানাডা ব্রডকাস্টিং সেন্টারের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, সবচাইতে বড় আশঙ্কার কথা হলো এখন অপরাধী চক্ররা কানাডায় স¤পত্তি কিনে তাদের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে। এসকল অপরাধীদের মাঝে মেক্সিকোর মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী সংগঠনসমূহ, চীনা সংগঠিত অপরাাধচক্র সকলেই এই মুদ্রাপাচার করছে দেশটিতে। ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সরকার গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জানায়, গতবছর প্রদেশটির আবাসনখাতে ৫শ কোটি ডলার মুদ্রাপাচারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটা শুধু একটি প্রদেশের হিসেব। সারা কানাডার হিসেবে এর ব্যপ্তি অনেক বেশি। গতবছর এই ধরণের অবৈধ বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি হতে পারে। এই কারণেই ১০ বছর আগে যেখানে একটি মাঝারি মানের বাড়ি কিনতে ১০ লাখ ডলার ব্যয় করতে হতো সেখানে এখন ব্যয় করতে হচ্ছে প্রায় ২০ লাখ ডলার। তবে এই হিসেবে মাত্র ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির হিসেব করেছে কানাডার সরকার। যা একটি নুন্যতম হিসেব। প্রকৃত মূল্যস্ফীতি রাজ্য বা অঞ্চলভেদে অনেক বেশি কানাডায়।
ভ্যাংকুভার, অটোয়া এবং টরেন্টোর মতো বৃহৎ শহরাঞ্চলে আবাসন মূল্যস্ফীতি আরো ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। এ বিষয়ে সিবিসির কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে কানাডার অধিকাংশ মধ্যবিত্ত তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে, এর প্রতিকারে সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ দাবি করেন। ৩০ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ নারী, অ্যামি রনসন বলেন, ‘আমি এখনো বাবা-মার সঙ্গেই বসবাস করি। কারণ আমার নিজের বাড়ি কেনার ক্ষমতা নেই।’ সম্পাদনা : ইকবাল খান