আবু আহমেদ বললেন, দরিদ্র ভাতার সঙ্গে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা দিতে পারলে জনগণের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে
আমিরুল ইসলাম : আগামী বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাত অগ্রাধিকার পাবে। দরিদ্র ভাতা পাবেন আরো ১৩ লাখ লোক। সামাজিক সুরক্ষা খাত নিশ্চিত করার জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, দরিদ্র ভাতার সঙ্গে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা দিতে পারলে জনগণের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
আমাদের অর্থনীতিকে আবু আহমেদ বললেন, এটা অবশ্যই সরকারের একটা ইতিবাচক কর্মকা-। দেশের অনেক লোকই গরিব রয়েছে, সরকারের সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই তাদের সবাইকে সাহায্য করবে। দরিদ্র লোক বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও একটা পদ্ধতিগত ব্যাপার আছে। আবার দরিদ্রের ক্ষেত্রে বয়সেরও একটা ব্যাপার আছে। বৃদ্ধ দরিদ্রদের প্রাধান্য দেয়া উচিত। দেশ উন্নত হলেও যারা উন্নতির কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না বা বয়স হয়ে গেছে, যারা উন্নতির সুফল থেকে বাইরে পড়ে আছে তাদের অন্য দেশেও সুবিধা দেয়া হয়। আমাদের দেশেও দেয়ার চেষ্টা করছে। দরিদ্রদের জন্য সবচেয়ে উত্তম হবে তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়ে, কর্মমুখী শিক্ষা ও ট্রেনিং বা ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিলে সবচেয়ে ভালো হবে। এমনি নগদ ভাতা বা অর্থ দিলে সেটা থাকে না। এটা সঙ্গে সঙ্গেই খরচ হয়ে যায়। দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়ের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়াটাই সবচেয়ে উত্তম।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যসেবা বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে দরিদ্রদের জন্য। এ ধরনের ব্যবস্থা আমাদের দেশে থাকলেও দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেগুলো তাদের কাছে পৌঁছে না। বিভিন্ন দুর্নীতিবাজ লোকেরা গরিবদেরর দেয়া অর্থ লুটপাট করে নেয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে দরিদ্র লোকেরা ঠিকমতো সুবিধা পাচ্ছেন না। ঔষধ ও চিকিৎসাসেবা কোনোটাই তাদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছে না। শিক্ষাটা দরিদ্রদের ছেলেমেয়েদের জন্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি কিছু নগদ সহায়তা দিলেই তাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। টিসিবির মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য বিক্রিটা চালু রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ভাতা যা দেয়া হচ্ছে সেটাও ঠিক আছে। এগুলোর সঙ্গে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবাটা নিশ্চিত করতে পারলেই জনগণের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।