লাইসেন্স বাতিল হওয়া ৫২ পণ্য বাজারে পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বিএসটিআই
স্বপ্না চক্রবর্তী : হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে বিএসটিআই-এর পরীক্ষায় নি¤œমানের বলে প্রমাণিত ৫২টি খাদ্যপণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের শেষ সময় আজ। আজকের মধ্যে কোম্পানিগুলো তাদের নিজেদের পণ্য বাজার থেকে তুলে না নিলে কোম্পানির ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলসহ তাদের নামে মামলাও হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ। আরও প্রায় ২৯৩টি পণ্য বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে, যেগুলোর মান নি¤œমানের বলে জানিয়েছেন তারা। বিএসটিআইয়ের পরিচালক এস এম ইছহাক আলী জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী লাইসেন্স বাতিল ও স্থগিত হওয়া পণ্যগুলো বাজার থেকে সরিয়ে নেয়ার সময় আজকেই শেষ। রোববার থেকে বিএসটিআইয়ের বিশেষ টিম বাজারে নামবে এসব পণ্য অপসারণে। যদি কোনো পণ্য খুচরা বিক্রেতাসহ যেকোনো দোকানে পাওয়া যায় তাহলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোম্পানিগুলোর নামে মামলাও হতে পারে।
এদিকে নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যগুলোর বিজ্ঞাপন এখনো বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানতে চাইলে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রিয়াজুল হক জানান, কোনোভাবেই লাইসেন্স বাতিল হওয়া পণ্যগুলোর কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হওয়ার সুযোগ নেই। যদি এমনটি হয় তাহলে সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু আজ (গতকাল) তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেহেতু আগামীকাল থেকে এসব পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে কি না তা কঠোর নজরদারিত্বে নেয়া হবে।
এতোদিন ব্যবহার করে আসা এসব পণ্য যদি মানবদেহের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হয়ে থাকে তাহলে এর বিরুদ্ধে এর আগে কেনো কেউ কথা বললো না কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, পণ্যের মান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই তাদের রুটিন কাজ হিসেবেই বাজারজাত করা ৫২টি পণ্যের মান সঠিক পায়নি। তাই তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে এতোদিন ধরে এসব পণ্য যারা ব্যবহার করে আসছেন তারা তো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। আমি শুনেছি বিএসটিআই এসব পণ্যের পুনরায় পরীক্ষার কথা ভাবছে। যদি এমনটা হয় তাহলে ভোক্তারা তো উপকৃত হবেই, পাশাপাশি এতোদিন ধরে যেসব ভোক্তা একটা নির্দিষ্ট পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন তারাও উপকৃত হবেন। তবে যারা এসব পণ্য থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তাদের ওইসব কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মানদ-ে বাতিল হওয়া পণ্যগুলো না কিনতে ক্রেতাদের পরামর্শও দেন তিনি। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান