গতবছর দেশে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত বহুজাতিক কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে
নূর মাজিদ : বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারি বহুজাতিক কো¤পানিগুলোর বাৎসরিক আয় প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে তারা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অধিক মুনাফা করেছে। শনিবার পর্যন্ত যে ১১টি বহুজাতিক কো¤পানি তাদের আয় বিবরণী প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বেড়েছে, অন্য দুটির আয় কমেছে। সূত্র : দ্য এজ, নিউজ বিডি
এদিকে বাজার বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশীয় কো¤পানির চাইতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অধিক মুনাফা করে থাকে। কারণ, তাদের ব্যবস্থাপনা উন্নত এবং বাণিজ্যিক সুনামও সুপ্রতিষ্ঠিত। বাজারে উন্নত পণ্য সরবরাহকারক হিসেবে তাদের প্রতিই ক্রেতাদের আস্থার পরিমাণ সবচাইতে বেশি। তারা আরো জানান, ব্রান্ড ভ্যালু, মুনাফা অর্জনের সক্ষমতা এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো ফল অর্জনের সম্ভাবনার কারণেই পুঁজিবাজারে এই কো¤পানিগুলোর শেয়ারের দর চড়া থাকে। এই কারণে তারা বাংলাদেশের বাজারেও বিপুল স্থানীয় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়।
এদিকে গত অর্থবছরে যে সকল কো¤পানির শেয়ার প্রতি আয়ের পরিমাণ বা ইপিএস রেশিও সবচাইতে বেশি বেড়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাক্যো কো¤পানি বা ব্যাটবি, লিন্ডে বাংলাদেশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, লাফার্জ হোলসিম, ম্যারিকো বাংলাদেশ, রেকিট বেঙ্কিজার এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ। পুঁজিবাজারে জমা দেয়া কো¤পানি অডিটের তথ্যে দেখা যায়, গ¬্যাক্সোস্মিথক্লিন বাংলাদেশ গতবছরের শেষ নাগাদ নেতিবাচক ইপিএস রেশিও বা লোকসান ঘোষণা করেছে। শেয়ারপ্রতি এই লোকসানের পরিমাণ ৫২ টাকা ৭৫ পয়সা। ২০১৭ সালে যা ছিল ৫৫ দশমিক ৫৬ টাকা। গতবছর নিজেদের ওষুধ উৎপাদন ব্যবসায়িক ইউনিটটি বিক্রি করে দেয়ার পর থেকেই লোকসানের মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে, আয়ের তুলনায় এই সময় তাদের পরিচালনা ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ে।
সবচাইতে বেশি মুনাফা অর্জন করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাক্যো কো¤পানি বা ব্যাটবি। শেইয়ার প্রতি তাদের প্রদত্ত মুনাফার পরিমাণ ছিলো ১৬৬ দশমিক ৮৭ টাকা। এছাড়াও, কো¤পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫০০% নগদ এবং ২০০% শেয়ারের মালিকানা মুনাফা হিসেবে দেয়। এর আগের বছর তারা শেয়ার প্রতি ১৩০ দশমিক ৫০ টাকা মুনাফা দিয়েছিলো।
গ্রামীণফোন শেয়ারপ্রতি ২৬ দশমিক ০৪ টাকা লভ্যাংশ দেয়। ২০১৭ সালে যার পরিমাণ ছিলো ২০ দশমিক ৩১ টাকা। রেকিট বেঙ্কিজার প্রদত্ত শেয়ারপ্রতি মুনাফার পরিমাণ ছিলো ৮০ দশমিক ৬৩ টাকা। এর আগের বছর যার পরিমাণ ছিলো ৬২ দশমিক ৬৬ টাকা।
এছাড়াও হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ইপিএস রেশিও সামান্য বা দশমিক ৮৪ শতাংশ বাড়ে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায়। গতবছর এই রেশিও ছিল শেয়ারপ্রতি ১৪ দশমিক ৩৩ টাকা। যা আবার ২০১৭ সালে ছিলো ১৪ দশমিক ২১ টাকা।