চলতি অর্থবছরে বিশ্বে চিনির বাজারে ঘাটতি হবে সাড়ে ২৩ লাখ টন
নূর মাজিদ : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছর জুড়ে বিশ্ববাজারে চিনি সরবরাহের ক্ষেত্রে এই নেতিবাচক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ফলে মোট ঘাটতির পরিমাণ হবে ২৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এটা বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় একটি নেতিবাচক চিত্র। সেবছর বিশ্বব্যাপী চাহিদার তুলনায় চিনির সরবরাহ বেশি ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার টন। কৃষিপণ্যের বাজার তথ্য সরবরাহকারী সংস্থা ডাটাএগ্রো’র প্রেসিডেন্ট প¬নিও নাস্তারি বলেন, এশিয়ার বৃহৎ চিনি উৎপাদক দেশগুলোতে চিনি উৎপাদন কমে আসার কারণেই এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সূত্র : কমোডিটি অনলাইন।
নিউ ইয়র্কে সুগার উইক নামক চিনি শিল্পের এক বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নাস্তারি বলেন, ‘ এশিয়ার বৃহত্তম উৎপাদক ভারতে চলতি মৌসুমে ২ কোটি ৯১ লাখ চিনি উৎপাদিত হবে। যা আগের দেয়া ৩ কোটি ৩২ লাখ টনের পূর্বাভাসের চাইতে বেশ কম। এছাড়াও থাইল্যান্ডেও ১ কোটি ২৫ লাখ চিনি উৎপাদিত হবে, অথচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ কোটি ৪৫ লাখ টন। তবে আসার কথা হলো বিশ্বের অন্যান্য দেশে উৎপাদন বাড়ায়, চিনি সংকট তীব্র হবেনা। ’
বিশেষ করে, ব্রাজিলের প্রধান আখ উৎপাদনকারী মধ্য-দক্ষিনাঞ্চলে উৎপাদন ২ কোটি ৮০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সাড়ে ২৬ লাখ টন। একইসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিনি উৎপাদন ১ কোটি ৮৩ লাখ টন বাড়বে, যা এর আগে ছিলো ১ কোটি ৭৬ লাখ টন।