কৃষক বাঁচাতে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে, বললেন অর্থমন্ত্রী
সোহেল রহমান : ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, চাল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কৃষককে বাঁচাতে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে চাল রফতানি করা হবে। গতকাল রোববার শেরেবাংলা নগরস্থ মন্ত্রীর দপ্তরে কৃষি বাজেট নিয়ে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে কৃষি ও এর উপখাতগুলোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে একগুচ্ছ সুপারিশমালা তুলে ধরেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। পাশাপাশি এখন চালের দাম আন্তর্জাতিক বাজারেও কম। যে কারণে ধানের দাম নিয়ে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের কৃষককে বাঁচাতে হবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যেটা করতে পারি, সেটা হলো আমরা চাল আমদানি নিরুৎসাহিত ও আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারি। কিন্তু চাল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি চাল রফতানির দিকেও আমাদের জোর দিতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সবজির উৎপাদনও আমাদের অনেক হয়েছিল। ফলে কৃষকরা দাম পাচ্ছিল না এবং এগুলো পঁচে যাচ্ছিল। আমরা সবজি রফতানির ব্যবস্থা করলাম। রফতানি খরচ দিতে পারে না বলে আমরা সেখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুকি দিয়ে আমরা সেই কাজটি করছি। এ কারণে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন চার নম্বরে। রফতানি করার কারণে এর বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। সবজিতে অন্তত দামটা পাচ্ছে কৃষকরা। একইভাবে চালও ভর্তুকি দিয়ে রফতানি করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সবজীর মতো যে বছর যে পণ্য বেশি উৎপাদন হবে, সেগুলোও রফতানির উদ্যোগ নেয়া হবে। তাহলে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে মিস-ম্যাচ (গড়মিল) হবে না। ন্যায্য দামটা কৃষক পাবেন। কারণ উৎপাদন করে কৃষক যদি উৎপাদনের খরচ না পায়, তবে তারা নিরৎসাহিত হবেন। এটি সরকারের জন্য একটি অনৈতিক বিষয়। সরকারকে সবদিকেই দেখতে হবে, উৎপাদনও দেখতে হবে, উৎপাদনের জন্য সহায়ক যা আছে সেগুলোরও সমাধান দিতে হবে। এটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। আমি মনে করি, এটা অবশ্যই করণীয়। স¤পাদনা : ইকবাল খান