শিক্ষিত তরুণের পেশাপরিকল্পনা
আবু তাহের খান
এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, বেকারত্বের চাপ প্রকট বলেই কিংবা কর্মসংস্থানের প্রতিযোগিতা দিনে দিনে আরো কঠিন হয়ে ওঠবার কারণেই শিক্ষিত তরুণকে এখন পেশাচিন্তার ক্ষেত্রে ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনার আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ধারণাটি একেবারেই যথার্থ নয়। কর্মের সুযোগ কম বা বেশি যাই থাকুক না কেন, নিজের সামর্থ ও আকাঙ্খা অনুযায়ী পেশা বেছে নিতে চাইলে বা পেশাগত জীবনে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাবার ব্যাপারে আকাঙ্খী হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ হবার আগেই প্রত্যেক শিক্ষিত তরুণের উচিৎ তার স্বপ্ন ও প্রত্যাশার সাথে মিল রেখে নিজের সামর্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ একটি বাস্তবভিত্তিক পেশাপরিকল্পনা তৈরি করে সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করা। আর কর্মসংস্থানের প্রতিযোগিতা প্রবল না হয়ে উল্টোটা হলেও এ পরিকল্পনা অত্যাবশ্যক। কারণ, কর্মের সুযোগ সহজলভ্য হলে সে ক্ষেত্রে পেশা নির্বাচন করতে যেয়েদোদুল্যমানতায় পড়ার ঝুঁকিও যথেষ্টই থাকে বৈকি! মোটকথা, কর্মবাজার কঠিন হোক বা সহজ হোক, সেখানে প্রতিযোগিতা কম থাকুক বা বেশি থাকুক—নিজেকে মানসম্পন্ন, মর্যাদাবান ও সন্তোষজনক পেশায় দেখতে চাইলে যেকোনো শিক্ষিত তরুণেরই উচিৎ যত আগেভাগে সম্ভব একটি দূরদর্শী ও চ্যালেঞ্জিং পেশাপরিকল্পনা তৈরি করে সে অনুযায়ী এগুনোর চেষ্টা করা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ পেশাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজটি কি খুবই কঠিন বা জটিল? একজন শিক্ষিত তরুণ নিজে নিজেই কি এটি তৈরি করতে সক্ষম? জবাব হচ্ছে, কাজটি মোটেও কঠিন বা জটিল কিছু নয়। আর ধারণাগত স্পষ্টতা থাকলে একজন শিক্ষিত তরুণ নিজের পেশাপরিকল্পনা নিজেই তৈরি করতে পারেন এবং বস্তুতঃ সেটিই করা উচিৎ। তবে এ ব্যাপারে প্রয়োজনে শিক্ষক, অভিভাবক বা পেশাজীবী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ বা সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে তা যেভাবেই করা হোক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে: আজকের এই চরম প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে ও প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রসরমানতার এ যুগে যেখানে পেশার ধরন ও যোগ্যতার শর্ত যেখানে নিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে, সেখানে সুষ্ঠুভিত্তিক পেশাপরিকল্পনা ব্যতীত কোনো শিক্ষিত তরুণের পক্ষেই কাঙ্খিত মানের ও সন্তোষজনক পর্যায়ের পেশায় নিজেকে যুক্ত করা সম্ভব নয় বললেই চলে।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষাক্রমের আওতায় ‘পেশাপরিকল্পনা’ নামে বাংলাদেশে এখনও কোনো স্বতন্ত্র বিষয় চালু হয়নি। ফলে এ ব্যাপারে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ধারণাগত ও প্রায়োগিক উভয়বিধ জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও সুযোগের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি আবার এটাও ঠিক যে, পেশাপরিকল্পনা বিষয়ে ন্যূনতম প্রাথমিক জ্ঞান থাকাটা-যে প্রত্যেক শিক্ষিত তরুণের জন্যই জরুরি—এটাও আবার অনেকের ধারণায় নেই। আমাদের অনেক শিক্ষিত তরুণই পেশার কথা ভাবেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্তির পর এবং তখন তা ভাবতে যেয়ে কর্মবাজারের চাহিদার সাথে নিজের যোগ্যতার কোনো সঙ্গতি খুঁজে পান না। কিন্তু এ ভাবনাটাই যদি তিনিকলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গোড়ার দিকে ভাবতেন, তাহলে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে তিনি আগে থেকেই প্রস্তুত করে নিতে পারতেন। কিন্তু পাশ করার পর যে যোগ্যতা ও প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বা তারা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সামনে হাজির হন, তা দিয়ে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম চাহিদাটুকুও তাদেও পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয়না—আদর্শ পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাশাতো নয়ই! আর এ রকম একটি অবস্থার কারণেই দেশে বর্তমানে প্রায় ৮ লক্ষ বিদেশি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে এবং যে সংখ্যা দিনে দিনে আরো বাড়ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেহেতু বর্তমানে খুবই দ্রুততার সাথে বিকশিত হচ্ছে, সেহেতু আগামী ৫/৭ বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা দ্বিগুণে উন্নীত হলে তাতে মোটেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বলা হয়ে থাকে যে, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যথেষ্ট কর্মমুখী নয় এবং এর আওতায় যেসব পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়ে থাকে তা আসলে কর্মে নিয়োজন-উপযোগী জনবল তৈরি করতে সক্ষম নয়। এ ধারণা পুরোপুরি সত্য নয়। বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার আওতাধীন পাঠ্যক্রমে অনেক ত্রুটিবিচ্যুতি ও অসম্পূর্ণতাই হয়তো রয়েছে। কিন্ত তারপরও সেটুকুও যদি উপযুক্ত শিক্ষকের মাধ্যমে ঠিকমতো অনুসরণ করা যেতো, তাহলে শিক্ষিত তরুণের পেশা অনুসন্ধান হয়তো এতোটা কঠিন হয়ে ওঠতো না। তবে এখানে বলা প্রয়োজন যে, শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ত্রুটিবিচ্যুতি, পাঠ্যক্রমে নানা অসম্পূর্ণতা ও শিক্ষকমানে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বলেই বাংলাদেশে শিক্ষিত তরুণের জন্য পেশাপরিকল্পনা প্রণয়ন আরো অধিক জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ, এসব ত্রুটিবিচ্যুতি, অসম্পূর্ণতা ও ঘাটতি মোকাবেলা করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য উপযুক্ত পেশাপরিকল্পনার কোনোই বিকল্প নেই। কারণ এ অবস্থাতো হঠাৎ করে বদলে যাবে না—বদলাতে সময় লাগবে। কিন্তু কর্মপ্রার্থী তরুণের জন্য ততক্ষণ অপেক্ষা করার সুযোগ কোথায়? বিদ্যমান ব্যবস্থার ওপর অত্যন্ত যৌক্তিকভাবেই হয়তো দোষ চাপানো যাবে। কিন্তু তাতে করে যোগ্যতার প্রশ্নে চাকরিদাতার যে চাহিদা ও প্রয়োজন—সেটি মেটাবার সামর্থতো আর ঐ তরুণের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে না! অন্যদিকে বয়স ও পেশার সন্ধিক্ষণে দাঁড়ানো তরুণের জন্য একটি সম্মানজনক কাজের ফয়সালাওতো এ প্রক্রিয়ায় অনিষ্পন্নই থেকে গেল। এরূপ পরিস্থিতিতে তাহলে করণীয়টি কী? এর একটি জবাব এই যে, এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত পেশাপরিকল্পনা তৈরির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটির কারণে তরুণদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতার যে ঘাটতি থাকছে, সেটি পূরণের জন্যতাদেরকে চাকরিদাতার চাহিদা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। আশার কথা, দেশের কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সেটি করতে শুরু করেছে।
শিক্ষিত তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে বর্তমানে বড় ধরনের একটি আধা-লুক্কায়িত সমস্যা হচ্ছে মানসম্পন্ন কর্মে (ছঁধষরঃু বসঢ়ষড়ুসবহঃ) নিয়োজিত হতে না পারা। শেষ পর্যন্ত যেনতেন একটি কাজ সে পেয়ে যাচ্ছে বটে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটি তার শিক্ষাগত ও আনুষঙ্গিক যোগ্যতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়ে ওঠছে না। অন্যদিকে সনদীয় যোগ্যতায় যারা কাজ পাচ্ছেন তারা আবার ঐ পদের দায়িত্বিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। আসলে বাংলাদেশের কর্মবাজার এখন এরূপ এক জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যে, শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়ন ব্যতীত এ অবস্থা থেকে বেরুনো সত্যি এক দূরহ ব্যাপার। তবে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পেশাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেসে অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করতঃ ধৈর্য্য ও পরিশ্রমসহকারে এগুতে পারলে এ ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে, একজন শিক্ষিত তরুণ বা শিক্ষার্থী তার পেশাপরিকল্পনা কিভাবে তৈরি করবেন? পূর্ণাঙ্গ জবাবটি অনেক দীর্ঘ, যার পুরোটা এ স্বল্প পরিসরের আলোচনায় তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে বিষয়ের একটি অতি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা প্রাথমিক ধারণা হিসেবে এখানে তুলে ধরা যেতে পারে। পেশা অনুসন্ধানী তরুণকে প্রথমেই একটি সুনির্দিষ্ট পেশাগত লক্ষ্য ঠিক করতে হবে:তিনি কি চাকরি করবেন নাকি উদ্যোক্তা হবেন, চাকরি করলে সেটি কি সরকারি নাকি বেসরকারি, সেটি কি দেশে নাকি বিদেশে ইত্যাদি। অন্যদিকে, উদ্যোক্তা হলে সেটি উৎপাদনখাতে হবে নাকি সেবাভিত্তিক ব্যবসায়িক খাতে, এটি কি রাধানীকেন্দ্রিক হবে নাকি গ্রামভিত্তিক ইত্যাদি নানা প্রশ্নের জবাব সুনির্দিষ্ট তথ্য ও ধারণার ভিত্তিতে একেবারে গোড়াতেই তাকে নিষ্পত্তি করতে হবে। এ লক্ষ্য নির্ধারণের পর তাকে বসতে হবে আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মমূল্যায়নে। তাকে অনুপুঙ্খভাবে যাচাই করে দেখতে হবে, উল্লিখিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে কী কী যোগ্যতা ও সামর্থ তার আছে এবং কী কী তার নেই। যা যা আছে, সেগুলোকে যতœ ও পরিচর্যার মাধ্যমে আরো শাণিত করতে হবে এবং সাহস প্রদর্শন, ঝুঁকি গ্রহণ ও ধৈর্য্য বজায় রাখার কাজে ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে, যেসব গুণাবলীর ঘাটতি রয়েছে, দ্রুততার সাথে সেগুলোকে অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। তারপরও যদি লক্ষ্যে পৌঁছানোর কাজটি বিলম্বিত হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে হতাশ না হয়ে ধৈর্য্য ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং তাতে সাফল্য একদিন না একদিন আসবেই।
পেশাচিন্তার পরিধিকে যতোটা সম্ভব সম্প্রসারিত ও ব্যাপকভিত্তিক করতে হবে। যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সমগ্র পৃথিবী বস্তুতই এখন হাতের মুঠোয়। চাকরি ও উদ্যোক্তাবৃত্তি উভয় কাজের জন্যই শুধু দেশের পরিধিকেই সীমানা ভাবলে চলবে না—সমগ্র পৃথিবীর যেখানে যা সুযোগ আছে, তার সবকিছুই ব্যবহারের ব্যাপারে উদ্যেমী হতে হবে। আর পেশা সংক্রান্ত যেকোনো চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে অন্ততঃ একযুগ এগিয়ে থেকে চিন্তা করতে হবে। কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী এত দ্রুত বদলাচ্ছে যে, সে পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের চিন্তাভাবনা ও দক্ষতা স্তরের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন করতে না পারলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে পেশাগতজীবনে সাফল্য অর্জন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
দ্রুত পরিবর্তমান ও চরম প্রতিযোগিতামূলক এ বিশ্বে নিজের যথেষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকাটাই শুধু যথেষ্ট নয়। সে দক্ষতা ও যোগ্যতাকে ব্যবহারের মাধ্যমে অবদান রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কতোটা উদ্যেমী—পেশাচিন্তার ক্ষেত্রে সেটাও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি সেটিকে তুলে ধরার সামর্থও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে থাকতে হবে। অর্থাৎ পেশাপরিকল্পনার আওতাধীন একটি অন্যতম বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে উপস্থাপন কৌশল। একইভাবে সর্বোত্তম ও চৌকষ যোগাযোগের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার কৌশল রপ্তের আয়োজন যুক্ত থাকাটাও আধুনিক পেশাপরিকল্পনার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কারণ এটি রপ্ত না থাকলে অন্য অনেক জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতাই ম্লান হয়ে যেতে পারে। একইভাবে মাতৃভাষার বাইরে প্রয়োজনমাফিক অন্য ভাষা শিক্ষার তাগাদাও হাল যুগের পেশাপরিকল্পনার সাথে যুক্ত। আর বলাই বাহুল্য যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে ভাষাটি হচ্ছে ইংরেজি। অতএব বিশ্ববাস্তবতায় স্বপ্নবান পেশাপরিকল্পককে মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে।
পরিশেষে বলবো, পেশাগতজীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে সুষ্ঠুভিত্তিক পেশাপরিকল্পনা প্রণয়ন যেমনি জরুরি, তেমনি সমান বা তারচেয়েও বেশি জরুরি হচ্ছে প্রণীত পরিকল্পনা অনুযায়ী দৈনন্দিন চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেকে একটু একটু করে গড়ে তোলা। সে ক্ষেত্রে নিজের অধীত বিষয়ের পাশাপাশি সমকালীন অন্যান্য সকল বিষয়েই তথ্যের দিক থেকে হালনাগাদ ও জ্ঞানের দিক থেকে গভীরতর মনোযোগের অধিকারী হতে হবে। আর অনিবার্যভাবেই পেশাপরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যই হবে এ ধারণা তুলে ধরা যে, স্বনির্ধারিত যোগ্যতা দিয়ে চাকরি খুঁজলে কোনোদিনও চাকরি পাওয়া যাবে না; বরং চাকরিদাতার প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের যোগ্যতা তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হবে। বিষয়টি সমানভাবে সত্য উদ্যোক্তাবৃত্তির ক্ষেত্রেও। ক্রেতা বা ভোক্তার চাহিদার সাথে সর্বোচ্চ সামঞ্জস্য বিধানে সক্ষম উদ্যোক্তার পক্ষেই কেবল সম্ভব এ ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সফলতা অর্জন। বাংলাদেশের কর্মপ্রার্থী শিক্ষিত তরুণেরা বিষয়টিকে আবেগ বা হতাশার জায়গা থেকে নয়- বাস্তবতার নিরিখে উপলব্ধি করে সে অনুযায়ী নিজেদেরকে গড়ে তুলবার ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলেই আশা রাখি। লেখক : পরিচালক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ধঃশযধহ৫৬@মসধরষ.পড়স