দয়া করে বিদেশে চিঠি লিখবেন না, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক
আসিফ হাসান কাজল : বিজিএমই এর সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, সক্ষমতার জায়গায় আমরা দুর্বল হয়ে গেছি। দুর্বল হয়ে গেছি কারণ আমাদের ভাবমূর্তির ঘাটতি আছে। এই জায়গাটাতে আমি আপনাদের সকলের কাছে বারবার অনুরোধ করি, দয়া করে বিদেশে চিঠি লিখবেন না। আমাদেরকে চিঠি লিখে জানান। আমরা জানার আগে বহু খবর বিদেশীরা জানে। দয়া করে এই কাজটি আপনারা করবেন না। একসাথে আমাদের থাকতে হবে। মঙ্গলবার ২১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত শ্রমিকদের জন্য কেমন বাজেট চাই শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আমরাই সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নূন্যতম মজুরি বাড়িয়েছেন কিন্তু আমরা দিতে পারছি না। আমরা নিজেদের মধ্যেই বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছি। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে ভালো কাজগুলোকে একসূতোয় আনতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
রুবানা হক বলেন, ভালো কাজ তো একসময় না একসময় করতে হয়। ভালো কাজ আজকে থেকেই শুরু হোক। শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ফ্যাক্টরি এলাকায় স্কুল করা খুবই জরুরি। আপনারা সে বিষয়ে উদ্যোগী হন। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতাও প্রয়োজন। শ্রমিকের মানসিক অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে মালিকপক্ষকেই। কারণ, তারা শুধুমাত্র পেটের ক্ষুধার কারণে শুধু মাত্র রাস্তায় নামে।
বিজিএমই এর এই সভাপতি বলেন, আপনারা চিঠি যদি দিয়েই থাকেন তবে বিদেশে দেশের ভালো কিছু লিখে চিঠি দেন। উনারা (বিদেশীরা) কিভাবে বড? বড? কথা বলে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে কম দাম দেন। এবং নিয়মিত দিয়েই যাচ্ছেন। আপনারা ভালো কিছু লিখলে উনার দাম কম দিতে পারবে না। যদি কেউ আপনাদের বিরুদ্ধে অন্যায় অত্যাচার করে তবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি বিজিএমই এর সভাপতি, আমি আমার আপ্রাণ চেষ্টা করব যাতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেউ অসদাচরণ না করতে পারে। বিদেশে যদি কিছু লিখতে হয়, তবে অবশ্যই দেশের প্রশংসা করে চিঠি লিখবেন।
বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র বাজেটের আগে বললে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হবে তা নয়, এরপরও কাজ করা যায়। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আগামী বাজেটের যদি আমি বেঁচে থাকি, যদি আগামী বছরের বাজেট প্রস্তাব আমার দেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে একসাথে বসে আলোচনা করে বাজেট দেব।
আলোচনা সভায় প্রবীণ শ্রমিক নেতা মঞ্জুরুল হাসান খান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার মোঃ গোলাম মোয়াজ্জেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।