অধিক বৈদেশিক ঋণে অর্থনীতির উপর আঘাত আসতে পারে, বললেন মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
মঈন মোশাররফ : অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মো. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বুধবার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, তারল্য সংকট তো ইদানিংকালের। কিন্তু বিদেশে থেকে ঋণ নেয়ার প্রবণতা বেশ পুরোনো। এর কারণ হলো বিদেশি ঋণে সুদহার কম, সাড়ে চার বা পাঁচ শতাংশ। কিন্তু দেশি ঋণে সুদ প্রায় ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে দুটি ঝুঁকি বা নেতিবাচক দিক রয়েছে। প্রথমত কারেন্সি মিস ম্যাচ। অর্থাৎ বিনিয়োগ করে অর্থ উপাজর্ন করতে হবে দেশি মুদ্রায় আর ঋণ পরিশোধ করতে হবে বৈদেশিক মুদ্রায়। এর ব্যাখ্যা হচ্ছে, যে পরিমাণ বিনিয়োগ করা হবে সেটা থেকে যদি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন না করা যায়, তাহলে সার্বিকভাবে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার উপর চাপ পড়ে। ফলে মুদ্রা বিনিময়ের উপরও চাপ পড়ে। এ কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত মেচিউরিটি মিস ম্যাচ। অর্থাৎ এই ধরনের ঋণ সাধারণত ২ থেকে ৩ বছরের জন্য নেয়া হয়। কিন্তু যদি এমনভাবে বিনিয়োগ করা হয় যে, ৫ বা ৬ বছর পর মুনাফা আসবে। তাহলে সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তখন অর্থনীতির উপর প্রচ- আঘাত আসতে পারে।
তিনি জানান, পূর্ব এশিয়ায় ১৯৯৭-৯৮ সালে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিলো তার পেছনে মূল কারণ ছিলো এ বৈদেশিক ঋণ। আমাদের দেশে মনে হয় এ ঋণ এখন আতঙ্কজনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে যেসব ক্ষেত্রে উপার্জন করা যাবে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা উচিত। সম্পাদনা : এইচএম জামাল, রেজাউল আহসান