ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচ হতে চান মাশরাফি
শিউলী আক্তার : বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, অভিষেকের ১৮ বছর পরও নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় দেশের পেস বোলিং বিভাগের নেতা তিনিই। ইনজুরিতে বার বার মাঠের বাইরে না গেলে হতে পারতেন বিশ্ব সেরাদের একজন। আসন্ন বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ক্রিকেটের এই মেগা আসরের পরই হয়তো লাল-সবুজের জার্সিতে আর দেখা যাবে না ম্যাশকে। তবে খেলা ছাড়লেও থাকতে চান ক্রিকেটের সাথেই, হতে চান উঠতি ক্রিকেটারদের কোচ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসিক জানিয়েছেন তার ইচ্ছের কথা। আন্তর্জাতিক নয় দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইনের দিক নির্দেশক হিসেবেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করাতেই আগ্রহ ম্যাশের। কথা বলেছেন অলিখিতভাবে সাদা পোশাকে অবসর প্রসঙ্গেও।
২০০১ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া মাশরাফি গত ১৮ বছর ধরে দেশের সেরা পেসারের তকমা নিয়ে আছেন। বারবার চোটে পড়ে, সাতবার গুরুতর সার্জারির পরেও ফিরে এসেছেন ক্রিকেটকে ভালোবেসে। তার নেতৃত্বে বদলে গেছে দেশের ক্রিকেটের দৃশ্যপটই, সে গল্পটাও সবার জানা। এরই মধ্যে যোগ হয়েছে নতুন পরিচয়, নিজ এলাকার মানুষের সেবার লক্ষ্যে নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। নির্বাচিত হয়েছেন নড়াইল-২ আসনের মাননীয় সাংসদও।
এমন প্রেক্ষাপটে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানানোর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও মাশরাফি বলছেন ক্রিকেট তার আবেগের জায়গা। খেলা ছাড়লেও কোচিং দিয়ে থাকতে চান ক্রিকেটের সাথেই, ‘খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেটের সাথেই থাকতে চাই। সুযোগ থাকলে কোচিং করাতে চাই, সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়। এইচপি কিংবা উঠতি তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে চাই। ক্রিকেটতো আসলে আমার আবেগের জায়গা।’
২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ান সফরে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টেই চোটে পড়ে সেই যে বাইরে গেলেন, সাদা পোশাকে আর ফেরা হয়নি ম্যাশের। ৩৪ বছর বয়স পার করা মাশরাফি টি-টোয়েন্টি থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিলেও ঘোষণা দিয়ে অবসরে যাননি টেস্ট থেকে। তবে বয়স আর ফিটনেস বিবেচনায় মাশরাফি নিজেই জানালেন সাদা পোশাকে ফেরার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠাতে, ‘এখন ওয়ানডে খেলছি। বয়সও বাড়ছে, টেস্ট ক্রিকেটে ফেরাটা আসলে খুব কঠিন।’
বলা যায় সবধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে অচিরেই নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন মাশরাফি। নিজের শেষ বিশ্বকাপের সাথে তবে কি শেষ বলা যায় দেশের সফল এই অধিনায়কের ক্যারিয়ারও? সেটার উত্তর মিলবে ঠিক সময়মতই। আপাতত মাশরাফির পূর্ণ মনোযোগ যে আসন্ন বিশ্বকাপেই।