ড. আতিউর রহমান বললেন, চাল আমদানি বন্ধ করতে রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী
আমিরুল ইসলাম : চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিদ্যমান শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশে উন্নীত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের এই সিদ্ধান্তে কৃষকের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, চাল আমাদনি বন্ধ করার জন্য রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী।
তিনি আরও বলেন, এটা নিঃসন্দেহে একটা ইতিবাচক উদ্যোগ। যে সময়ে আমাদের উদ্বৃত্ত ফসল সেসময়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করাটা প্রাসঙ্গিক। আমার মনে হয় এটা একটা সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে ধানের দাম একটু বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। কৃষিতে সবসময় এমনটাই হয়। যখন উৎপাদন বেড়ে যায় তখন দাম কমে যায়। যার ফলে নিরুৎসাহিত হয়ে পরের বছর কম উৎপাদন করে। আবার দাম বেড়ে যায়। কৃষির সার্কেলটাই এ রকম। তবে এ সময়টাতে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিয়ে নিরুৎসাহিত করা একটি ভালো সিদ্ধান্ত। এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত। আমদানি আরো নিরুৎসাহিত করা যায় কিনা দেখা উচিত। ব্যাংক থেকে এলসি ও মার্জিন বাড়িয়েও নিরুৎসাহিত করা যায়।
ড. আতিউর রহমান বলেন, আমাদের কৃষিতে গুরুত্ব দেয়া লাগবে দুটো কারণে। ১. কৃষি ভালো করলে শিল্প বাড়বে। ২. কৃষি ভালো করলে কর্মসংস্থান বাড়ে। কারণ কৃষিকাজের সঙ্গে অনেক বেশি কর্মসংস্থান জড়িত। কৃষি ভালো করলে আমাদের দারিদ্র্য নিরসনের ধারা অব্যাহত থাকবে। কৃষি যতো ভালো করবে দারিদ্র্য ততো বেশি কমবে। আমাদের শিল্পের প্রয়োজনেই কৃষি দরকার।