ভোক্তা অধিকারের অভিযানে বন্ধ হলো ৩ রেস্টুরেন্ট
স্বপ্না চক্রবর্তী : নোংরা অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘর। বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে পচা-বাসি ইফতার। ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হচ্ছে রান্না করা খাবার, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব অপরাধে রাজধানীর তিনটি রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িকভাবে বন্ধও করে দেয়া হয়। রেস্টুরেন্টগুলো হলো ক্যাফে ধানমন্ডি, সুচিলি রেস্টুরেন্ট ও বিয়ে বাড়ি রেস্তোঁরা। একই সঙ্গে পচা-বাসি খাবার রাখাসহ ভেজাল দেওয়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অভিযোগে তিন রেস্তোঁরাকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার জরিমানা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রমজান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ইন্দ্রানী রায়। আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, ক্যাফে ধানমন্ডি, সুচিলি রেস্টুরেন্ট, বিয়ে বাড়ি রেস্তোঁরা বাইরে খুব চকচকে। কিন্তু ভেতরের পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার তৈরি করছে। বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছে বিপুল পরিমাণ পচা ও বাসি ইফতার, যার ওপর ফাঙ্গাস পড়েছে। এছাড়া ফ্রিজে একসঙ্গে কাঁচা মাছ-মাংস সংরক্ষণ করে রেখেছে, যা ভোক্তা আইনপরিপন্থী। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠান তিনটিকে এক লাখ টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। অধিদফতরে এসে এসব অনিয়মের কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। তারা যদি যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করতে না পারে তাহলে তাদের প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এছাড়া একই এলাকার লাইলাতি রেস্টুরেন্ট ও পিন্টু মিয়ার ইফতারিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১ এর সদস্যরা। একই দিন ডিএমপির ভেজাল বিরোধী অভিযানের পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ডিবি ও ক্রাইম বিভাগের পুলিশ সদস্যরা। মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পচা-বাসি খাবার রাখা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের কাছে নাহার হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা, ধানমন্ডির ক্রিমসনকাপ কফি হাউজকে ১ লাখ টাকা ও একই এলাকার হাক্কা ঢাকা রেস্তোঁরাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।