আবু সুফিয়ার রতন : মর্জিনার মদখোর স্বামী মদের নেশায় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে নেশার আরও টাকার জন্য ছোট্ট তুলিকে নিঃসন্তান নেহাল সাহেবের কাছে বিক্রি করে দেয় মর্জিনার অজান্তে নেহাল সাহেবের কাছে। সেই তুলি রিনি নামে বড় হতে থাকে শহরে।স্কুল কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। রিনি এতদিন যাকে বাবা বলে জানত সেই নেহাল সাহেব মৃত্যুর আগে রিনিকে তার আসল বাবা মার পরিচয় জানিয়ে যায়। রিনি তখন তার বন্ধু নীলকে নিয়ে শহর থেকে নিজের গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। মর্জিনা নামের মহিলার খোঁজে।নীল রিনিকে প্রশ্ন করে শহর থেকে গ্রামে কেন? রিনি নিলের প্রশ্নের কোন জবাব দেয়না। রিনি নীলকে
বলে,সে যেটা বলবে নীল যেন সেটাই করে। অনেক খোঁজা খুঁজির পর অবশেষে মর্জিনার দেখা পায়। মর্জিনাকে বলে তারা ,ইচ্ছা পুরুন,নামে একটা এন জি ও থেকে এসেছে । যাদের কাজ বাংলাদেশের প্রত্যেকটা গ্রামে একটা দরিদ্র পরিবারের ইচ্ছা পুরুন করা। মর্জিনা কখনও ভাবেনি যে সুখ এভাবে তার দরজায় আসবে। মর্জিনা ভাবে পঙ্গু ছেলে সাজু্র বাজারে একটা দোকান হবে ফুলি আর দুলি নতুন করে স্কুলে যাবে আরও কত কি। রিনি মর্জিনার কাছে শহরের মেম। যে মেম তার সংসারের এত বড় আশীর্বাদ হয়ে এসেছে মর্জিনার মনে হয় আর জনমে হয়তো এই মেম তার আপন কেউ ছিল? মুখটা যেন খুব চেনা মনে হয়।সময় যত গড়ায় শহরের মেম যেন মর্জিনার অতীতকে মনে করিয়ে দিতে চাই।কিন্তু কেন সে এসব কথা জানতে চাই ? মর্জিনা চাইলে ফুলি এবং দুলি যে কোন এক বোনকে সে কিনতে চাই।একজন মা কি করে তার সন্তানকে বিক্রি করবে। রিনির ও একি প্রশ্ন ?এতক্ষণে নীলের কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে।জন্ম দাতা পিতা- মাতার উপর চরম ঘৃণা থেকেই রিনি জানতে এসেছে কিভাবে একটা বাবা-মা তার সন্তানকে টাকার জন্য বিক্রি করতে পারে। এত সব প্রশ্নের জবাব মিলবে মানস পাল এর রচনা এবং গোলাম হাবিব লিটুর পরিচালনায় টেলিফিল্ম ‘অভাগিনি মা” অভিনয়ে ,চম্প্ ফারিয়া,জীবন
রায় এবং ,বাবু। প্রচারিত হবে .২৪ মে শুক্রবার ২.৪৫ মিনিটে চ্যানেল আইতে।