৩০ মে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মোদী
রাশিদ রিয়াজ : ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক একতরফা জয়ের পর শপথ নেওয়ার আগে গুজরাট ও বেণারস যাবেন মোদী। এরপর ৩০ মে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মোদী। শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সকল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যোগ দিতে বলাহয়। একই দিন দিল্লিতে প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির সঙ্গে দেখা করেন মোদী। দেখা করেন মুরলী মনোহর যোশির সঙ্গেও। এসময় মোদীর সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ছিলেন। আগেই ট্যুইট দলের সাফল্যের নেপথ্যে তাদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন মোদী। দলকে সঠিক আদর্শগত পথে চালানোর কৃতিত্বও দিয়েছেন মোদী। আদভানিকে প্রণাম করে আশীর্বাদও নিয়েছেন মোদী, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
তবে লোকসভা ভোটের পরদিনই দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের চিত্রটা নিতান্তই সহজাত নয়। সম্প্রতি বিজেপির বর্তমান নীতি ও আদর্শগত কার্যপ্রক্রিয়ার সমালোচনা করে একটি ব্লগ পোস্ট করেছিলেন আদভানি। কারো সঙ্গে কারো মতান্তর হলেই তাকে ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দেওয়ার প্রবণতা বর্তমানে দেখা যায় তা বিজেপির মধ্যে কখনোই ছিল না’, ব্লগে লিখেছিলেন বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য আদভানি। ভারতের রাজনীতিতে যেভাবে মোদী-শাহ জুটির বিজয়ধ্বজা উড়ছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদভানির ওই লেখা স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের সূত্রপাত করে- মোদীর বিজেপি ও আদভানির বিজেপি তাহলে অনেকটাই পরিবর্তিত? বিশেষ করে গান্ধীনগর থেকে আদভানির পরিবর্তে অমিত শাহকে প্রার্থী করায় আদভানি ক্ষোভের বিষয়টিও প্রকাশ্যে এসেছিল।
সেই বেণারস থেকে বিপুল ভোটে জিতেছেন মোদী। ২০১৪ এর থেকে আরও বেশি সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় ফিরছে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি। আদভানির গান্ধীনগরে প্রায় ৫ লাখ ভোটে জিতে গিয়েছেন অমিত শাহ। ক্ষমতার জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রবীণ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপাতদৃষ্টিতে দলগত বিভেদের প্রশ্নে একটি বিস্ময়সূচক চিহ্নই দিয়ে দিলেন নরেন্দ্র্র মোদি ও অমিত শাহ।