সাপের কামড়ে দিনে ২শ মানুষের মৃত্যু
আব্দুর রাজ্জাক : সাপের কামড়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুহারের ওপর এই মূল্যায়নটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে ব্রিটিশ ওয়েলকাম ট্রাস্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও এই সংস্থার মূল্যায়নকে সমর্থন করেছে। সাপের কামড়ে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হার অর্ধেক কমিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে ব্রিটিশ এই সংস্থাটি। বিবিসি, সিএনএন
ওয়েলকাম ট্রাস্ট বলছে, সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা এলাকা ও এশিয়ায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সাপের আনাঘোনা বেশি থাকে এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর আক্রমণের শিকার হয়। আর মৃত্যুর হার এই সব এলাকায় বেশি হওয়ার কারণ হলো তাদের কাছে এন্টিভেনম বা সাপের বিষরোধক ভ্যাকসিন থাকে না। এমনকি তৎক্ষণাৎ হাসপাতালেও নেয়া সম্ভব হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিবছর প্রায় ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজারের মতো মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। তবে সাপের আক্রমণের শিকার হয় বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। কিন্তু শরীরে বিষ প্রবেশ করতে পারে তাদের অর্ধেকের কিছু বেশি মানুষের। আর সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ভারতেই এই সমীক্ষার অর্ধেকের বেশি। কারণ ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের অসচেতনতা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এক ধরণের সংকটে রূপ নিয়েছে।
তবে সাপের কামড় একটি চিকিৎসাযোগ্য বিষয় বলে মন্তব্য করেন ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক প্রফেসর মাইক টারনার। তিনি বলেন, সঠিক এন্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত