আবু আহমেদ বললেন, কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়াতে হবে
জুয়েল খান : সরকার কৃষকের কাছ থেকে যে পরিমাণ ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা উৎপাদনের তুলনায় খুবই কম। তাই আরো বেশি পরিমাণ ধান কৃষকের কাছ থেকে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারকে আরো বেশি পরিামাণে ধান কিনতে হবে কৃষকের কাছ থেকে। এজন্য সরকারের খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এখন সরকারি খাদ্য গুদামের সংখ্যা খুবই সীমিত। এছাড়া আগে যেসব খাদ্য গুদাম ছিলো এখন সেগুলোর অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে, এখন এগুলোর সংস্কার করতে হবে এবং নতুন করে আবার খাদ্য গুদাম বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। বাংলাদেশের থেকে বাইরের দেশে চালের দাম কম থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা আমাদনির দিকে বেশি ঝুঁকছেন। সরকার চাল আমদানির উপরে যে বাড়তি কর আরোপ করেছেন তাতে করে চাল আমদানি কমে আসবে তবে এই সিদ্ধান্ত আরো আগে নেয়া উচিত ছিলো। আগে আমদানি বন্ধ করলে চালের বাজার এতো পড়তো না এবং কৃষকদের এতো কম দামে ধান বিক্রি করতে হতো না। তিনি আরো বলেন, এখন অটোমেটিকেলি ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে চালের দাম বাড়বে। বাইরের থেকে চাল আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে এতে করে কিছুদিনের মধ্যেই চালের বাজার বেড়ে যাবে। যখন বাইরের চাল দেশে ঢোকা বন্ধ হবে তখন দেশের ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাজারে চাল বিক্রি করতে পারবেন এবং চালের দাম বাড়লে ধানের দাম বাড়বে এবং কৃষকরা ধানের বাড়তি মূল্য পাবে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।