ক্রমাগত লোকশনে কৃষক, তিন ফসলী জমিতে গড়ে উঠছে ইটের ভাটা ও মাছের পুকুর
মতিনুজ্জামান মিটু : যারা উৎপাদন করে তারা পয়সা পায় না। ফসল বিক্রির দামের চার ভাগের এক ভাগ পান। তার ওপর গত ৫/৭ বছর ধরে কোনো ফসল চাষ করেই উৎপাদন খরচ উঠতে পারছেন না কৃষক। লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। এরই মাঝে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। চলছে প্রতিবেশি দেশের কারসাজি। প্রতিবেশি দেশগুলো বিশেষ করে ভারত চাল, পিয়াজ, আলু, রসুন ইত্যাদী ফসল উঠার মুখে রপ্তানীসহ অন্যান্য শুল্ক কমিয়ে দেয়। এতে এখানকার ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় দেশে উৎপাদিত ফসলের পরিবর্তে ওইসব দেশ থেকে চালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আমদানী করে গুদাম ভরে ফেলেন। এতে ফসল ওঠার সময় দেশের বাজার পড়ে যায়। তাই কৃষক ন্যায্য দামে ফসল বেচতে পারেন না। আবার যখন কৃষকের হাতে ফসল থাকে না তখন কোনো কারণ ছাড়াই ওইসব ফসলের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বাংলাদেশের কৃষক, কৃষি ও জনমানুষের জন্য ভয়ংকর ক্ষতি ডেকে আনছেন। টিকতে না পেরে ধীরে ধীরে আত্মহত্যার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন দেশের কৃষক।
এক নি:শ্বাসে হৃদয় বিদারক এসব কথা বলে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক ও বৃক্ষপ্রেমিক মো. আব্দুল ওয়াহেদ সরদার বললেন, মূল কথা কৃষক মারা যাচ্ছে। তারা উৎসাহ হারিয়ে তারা কৃষি কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন। তাই তিন ফসলী ও ভাল জমিগুলোতে গড়ে উঠছে একের পর এক ইটের ভাটা এবং মাছ চাষের পুকুর। তবে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করেও তেমন একটা লাভ হচ্ছেনা। বরং ক্ষেত্র বিশেষে গুণতে হচ্ছে লোকসান।